ঈদ সামনে রেখে সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় বিজিবি স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও নজরদারি জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবারে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার আবুয়া নদীর নিয়ামতপুর সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জিরা, গুঁড়োদুধ ও ফুচকাসহ আনুমানিক দেড় কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয় ও বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।
বিজিবি জানায়, ঈদকে সামনে রেখে সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের তৎপরতা বেড়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রক্তি নদীতে নৌ পরিবহনে পাচার কালে টাস্কফোর্সের এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩৫ হাজার কেজি ফুচকা, ১ হাজার কেজি গুঁড়োদুধ, আড়াই হাজার কেজি জিরাসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মুল্য দেড় কোটি টাকা। সীমান্তে চোরাকারবার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গোয়েন্দা তৎপরতা পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিজিবি।
২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জের অধিনায়ক ও পরিচালক একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, গোয়েন্দা তত্ত্বের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সুনামগঞ্জের নিয়ামতপুর এলাকায় নৌকার ভেতরে করে অবৈধ ভারতীয় ফুচকা জিরা এবং দুধ নিয়ে যাচ্ছিল চোরাকারবারিরা। এই ইনফরমেশন পাওয়ার পরে আমরা গতকাল আনুমানিক ৯টার দিকে টাক্সফোর্স এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার কেজি ফুচকা, ৯ হাজার কেজি জিরা এবং প্রায় ১ হাজার কেজি গুড়া দুধ ভারতীয় অবৈধ পণ্য আমরা জব্দ করতে পেরেছি। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, ঈদ সামনে রেখে সীমান্তে চোরাকারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই স্থল ও নৌপথে অভিযান চালানো হচ্ছে। দুই দিন আগেও ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ করা হয়। সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদক: তুর্য দাস
