ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাওর ধ্বংস করে নয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চাই জেলা সদরে

উপজেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৭:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • / 3

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস হাওরের পরিবর্তে জেলা সদরের নিকটবর্তী সরকারি জমিতে স্থাপনের দাবিতে শহরে তৃণমূল পর্যায়ের প্রচারসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে ‘সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়ন আন্দোলন’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন।

শনিবার (২১ জুন) দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন চত্বরে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গ্রাম বা এলাকার স্বার্থে নয়— এটি হবে জাতীয় সম্পদ, সকল শ্রেণি-পেশার শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। তাই এমন স্থানে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে হবে যেখানে যাতায়াত সহজ, পরিবেশ রক্ষা পায় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হয়।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শামছুদ্দিন আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মুনাজ্জির হোসেন সুজন।

অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন—

  • অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম

  • এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়

  • জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আকবর আলী

  • অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী

  • গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. রুহুল তুহিন

  • জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমদ

বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের আমলে ‘উন্নয়নের নামে’ প্রকৃতিকে বারবার বিপর্যস্ত করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, হাওরের মাঝখানে সুবিপ্রবির পরিকল্পিত অবস্থান জেলার প্রাণবৈচিত্র্য ও কৃষিজ উৎপাদনের জন্য হুমকি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে, মিঠা পানির মাছ ও জলচর পাখির আবাস নষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, হাওরের নির্ধারিত স্থানটি জেলা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে এবং পরিবহন-যোগাযোগে দুরূহ।

আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন দোকান, পথচারী ও যানবাহনে ‘বৈষম্য ঘোচাতে সুষম উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হোন, সোচ্চার হোন’ শিরোনামে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। তাতে অভিযোগ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং যুব মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একটি প্রভাবশালী মন্ত্রীর নিজ এলাকায় স্থাপন করেছে—যা সাধারণ জনগণের সাথে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

বক্তারা জানান, সুবিপ্রবির ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়নের দাবিতে দিরাই, দোয়ারাবাজারসহ সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় একযোগে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তাদের দাবি, হাওর ধ্বংস না করে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে—যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টিকিয়ে রাখা যায় পরিবেশ ও সমতা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

হাওর ধ্বংস করে নয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চাই জেলা সদরে

প্রকাশঃ ০৭:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস হাওরের পরিবর্তে জেলা সদরের নিকটবর্তী সরকারি জমিতে স্থাপনের দাবিতে শহরে তৃণমূল পর্যায়ের প্রচারসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে ‘সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়ন আন্দোলন’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন।

শনিবার (২১ জুন) দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন চত্বরে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গ্রাম বা এলাকার স্বার্থে নয়— এটি হবে জাতীয় সম্পদ, সকল শ্রেণি-পেশার শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। তাই এমন স্থানে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে হবে যেখানে যাতায়াত সহজ, পরিবেশ রক্ষা পায় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হয়।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শামছুদ্দিন আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মুনাজ্জির হোসেন সুজন।

অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন—

  • অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম

  • এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়

  • জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আকবর আলী

  • অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী

  • গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. রুহুল তুহিন

  • জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমদ

বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের আমলে ‘উন্নয়নের নামে’ প্রকৃতিকে বারবার বিপর্যস্ত করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, হাওরের মাঝখানে সুবিপ্রবির পরিকল্পিত অবস্থান জেলার প্রাণবৈচিত্র্য ও কৃষিজ উৎপাদনের জন্য হুমকি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে, মিঠা পানির মাছ ও জলচর পাখির আবাস নষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, হাওরের নির্ধারিত স্থানটি জেলা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে এবং পরিবহন-যোগাযোগে দুরূহ।

আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন দোকান, পথচারী ও যানবাহনে ‘বৈষম্য ঘোচাতে সুষম উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হোন, সোচ্চার হোন’ শিরোনামে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। তাতে অভিযোগ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং যুব মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একটি প্রভাবশালী মন্ত্রীর নিজ এলাকায় স্থাপন করেছে—যা সাধারণ জনগণের সাথে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

বক্তারা জানান, সুবিপ্রবির ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়নের দাবিতে দিরাই, দোয়ারাবাজারসহ সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় একযোগে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তাদের দাবি, হাওর ধ্বংস না করে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে—যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টিকিয়ে রাখা যায় পরিবেশ ও সমতা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”