ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ সড়কে রহস্য: একসঙ্গে অজ্ঞান ৭ যাত্রী

তুর্য দাস। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১২:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / 65

সুনামগঞ্জের দিরাই-মদনপুর সড়কের গাগলী নারাইনপুর এলাকায় অজ্ঞান যাত্রীরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন | ছবি: প্রজন্ম কথা


সুনামগঞ্জের দিরাই–কাঠইড় সড়কে চলন্ত একটি হাইয়েসে একসঙ্গে সাত যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে গাজীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অজ্ঞান হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ছয়জন নারী ও একজন পুরুষ। তবে পুরুষ যাত্রীর অবস্থা তুলনামূলক গুরুতর ছিল না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে সিলেট থেকে দিরাইয়ের রাঢ়ইল চৌধুরী বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা। দাফন শেষে শনিবার দুপুরে দিরাই থেকে হাইয়েস ভাড়া করে ফেরার পথে গাজীনগর এলাকায় পৌঁছালে একে একে সাতজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন— সালেহা চৌধুরী (৫০), তার মেয়ে রাইসা চৌধুরী (১৬) ও সাইদা চৌধুরী (১৫), সিজ্জিল মিয়া চৌধুরীর মেয়ে নাদিয়া (১৮) ও তানিশা (১২), রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে মহিমা (১৮) এবং শেফালী বেগম (৪০)। গাড়িতে থাকা একমাত্র পুরুষ যাত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে খিঁচুনি দেখা দেয়নি।

গাড়ি থামালে স্থানীয়রা পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। তাতে কাজ না হওয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সবাইকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শেফালী বেগমের জ্ঞান ফিরলেও অন্যদের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় বিকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেটে পাঠানো হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, “সাতজন একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন। এটি গণ-হিস্টিরিয়া বা গণ-সাইকোজেনিক অসুস্থতা হতে পারে। এছাড়া এসি গাড়িতে ক্ষতিকর কোনো স্প্রে কিংবা খাবারের কারণে এমন হতে পারে।”

হাসপাতালের আরএমওসহ চিকিৎসক দল প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তবে স্বজনরা ঝুঁকি না নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। অসুস্থদের প্রথমে সুনামগঞ্জে এনে পরে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। হাইয়েসের চালক বাবলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং পরে ফোন বন্ধ করে দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ সড়কে রহস্য: একসঙ্গে অজ্ঞান ৭ যাত্রী

প্রকাশঃ ১২:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জের দিরাই-মদনপুর সড়কের গাগলী নারাইনপুর এলাকায় অজ্ঞান যাত্রীরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন | ছবি: প্রজন্ম কথা


সুনামগঞ্জের দিরাই–কাঠইড় সড়কে চলন্ত একটি হাইয়েসে একসঙ্গে সাত যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে গাজীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অজ্ঞান হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ছয়জন নারী ও একজন পুরুষ। তবে পুরুষ যাত্রীর অবস্থা তুলনামূলক গুরুতর ছিল না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে সিলেট থেকে দিরাইয়ের রাঢ়ইল চৌধুরী বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা। দাফন শেষে শনিবার দুপুরে দিরাই থেকে হাইয়েস ভাড়া করে ফেরার পথে গাজীনগর এলাকায় পৌঁছালে একে একে সাতজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন— সালেহা চৌধুরী (৫০), তার মেয়ে রাইসা চৌধুরী (১৬) ও সাইদা চৌধুরী (১৫), সিজ্জিল মিয়া চৌধুরীর মেয়ে নাদিয়া (১৮) ও তানিশা (১২), রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে মহিমা (১৮) এবং শেফালী বেগম (৪০)। গাড়িতে থাকা একমাত্র পুরুষ যাত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে খিঁচুনি দেখা দেয়নি।

গাড়ি থামালে স্থানীয়রা পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। তাতে কাজ না হওয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সবাইকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শেফালী বেগমের জ্ঞান ফিরলেও অন্যদের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় বিকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেটে পাঠানো হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, “সাতজন একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন। এটি গণ-হিস্টিরিয়া বা গণ-সাইকোজেনিক অসুস্থতা হতে পারে। এছাড়া এসি গাড়িতে ক্ষতিকর কোনো স্প্রে কিংবা খাবারের কারণে এমন হতে পারে।”

হাসপাতালের আরএমওসহ চিকিৎসক দল প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তবে স্বজনরা ঝুঁকি না নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। অসুস্থদের প্রথমে সুনামগঞ্জে এনে পরে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। হাইয়েসের চালক বাবলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং পরে ফোন বন্ধ করে দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”