বগুড়ায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এক রিকশাচালক পিতাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে শহরের ফুলবাড়ি এলাকার করতোয়া নদীর ঘাটে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতের নাম শাকিল আহমেদ (৪০)। তিনি শহরের শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার সাজুর পুত্র এবং স্থানীয় জনৈক রানার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম এবং তার সহযোগী মতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত জিতুর বিরুদ্ধে আগেই চারটি মামলা রয়েছে এবং তিনি এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
নিহতের স্বজনরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে জিতু আহমেদ শাকিলের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে শাকিল রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জিতু ও তার সহযোগীরা শাকিলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। প্রাণ বাঁচাতে শাকিল তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে জিতুর দলবল সেখান থেকেও শাকিলকে ধরে এনে করতোয়া নদীর ঘাটে বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান বাসির বলেন, জিতু একাধিক সহযোগীসহ মোটরসাইকেলে করে গিয়ে শাকিলকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। পরে তারা শাকিলকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে শাকিলকে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং আরও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।