ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্যানেটারি মিস্ত্রির মৃত্যু

তুর্য দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৫:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / 13

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলাগুলির ঘটনায় আবু সাঈদ (৩১) নামের এক স্যানেটারি মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে চার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বিকেল থেকে রাতভর চলা অভিযানে হাতিয়ার গাধিয়ালা এলাকা থেকে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে একনলা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, সাতটি রামদা, নয়টি বল্লম, ছয়টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, একটি তাজা বুলেট এবং একটি ব্যবহৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রবিবার বিকালে সেনা ও অস্ত্রধারীদের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আবু সাঈদের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা এবং তাজ মিয়ার পুত্র। তিনি স্থানীয় একটি বাড়ির পানির ট্যাংকিতে কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে।

তবে সেনাবাহিনীর দাবি, আবু সাঈদ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২০ জুন। কুলঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন এবং বিএনপি নেতা আতিকুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষই অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২২ জুন সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে একরার হোসেনের অনুসারীরা গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনীও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।

পরে রাতভর যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনায় তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়া নামে চারজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জে সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্যানেটারি মিস্ত্রির মৃত্যু

প্রকাশঃ ০৫:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলাগুলির ঘটনায় আবু সাঈদ (৩১) নামের এক স্যানেটারি মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে চার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বিকেল থেকে রাতভর চলা অভিযানে হাতিয়ার গাধিয়ালা এলাকা থেকে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে একনলা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, সাতটি রামদা, নয়টি বল্লম, ছয়টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, একটি তাজা বুলেট এবং একটি ব্যবহৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রবিবার বিকালে সেনা ও অস্ত্রধারীদের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আবু সাঈদের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা এবং তাজ মিয়ার পুত্র। তিনি স্থানীয় একটি বাড়ির পানির ট্যাংকিতে কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে।

তবে সেনাবাহিনীর দাবি, আবু সাঈদ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২০ জুন। কুলঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন এবং বিএনপি নেতা আতিকুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষই অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২২ জুন সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে একরার হোসেনের অনুসারীরা গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনীও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।

পরে রাতভর যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনায় তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়া নামে চারজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”