ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের চাকরি হারিয়ে এখন পেশাদার মোটরসাইকেল চোর

তুর্য দাস । জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৩:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 8

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মোটরসাইকেল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক সাবেক পুলিশ কনস্টেবল। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরিফুল ইসলাম এক সময় পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তবে জুয়া ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় চাকরি হারান তিনি।

হাসপাতালের কর্মচারী মো. রওশন আলী জানান, “ঈদের আগে আমার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়েছিল। সোমবার চোরকে হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করতে দেখে চিনতে পারি। পরে দেখি, আরেকজনের বাইকের লক খোলার চেষ্টা করছে। সন্দেহ হলে আমরা ধরি ও জিজ্ঞাসাবাদ করি।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল ইসলাম আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেছেন। রওশন আলীর দাবি, “সে নিজের চুরি করা বাইকের পরিবর্তে আমাকে এক লাখ আট হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চেয়েছিল। তবে এলাকাবাসী তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।”

সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আরিফুল শহরের অন্তত চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত। পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার একটি হোটেলে থেকে সে এসব অপকর্ম চালাতো। তার কাছে দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে, যার মধ্যে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা আটক করার সময় স্থানীয়রা নিয়ে নিয়েছে বলে তার দাবি। ওসি আরও জানান, চাকরিচ্যুত এই সাবেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

পুলিশের চাকরি হারিয়ে এখন পেশাদার মোটরসাইকেল চোর

প্রকাশঃ ০৩:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মোটরসাইকেল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক সাবেক পুলিশ কনস্টেবল। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরিফুল ইসলাম এক সময় পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তবে জুয়া ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় চাকরি হারান তিনি।

হাসপাতালের কর্মচারী মো. রওশন আলী জানান, “ঈদের আগে আমার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়েছিল। সোমবার চোরকে হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করতে দেখে চিনতে পারি। পরে দেখি, আরেকজনের বাইকের লক খোলার চেষ্টা করছে। সন্দেহ হলে আমরা ধরি ও জিজ্ঞাসাবাদ করি।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল ইসলাম আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেছেন। রওশন আলীর দাবি, “সে নিজের চুরি করা বাইকের পরিবর্তে আমাকে এক লাখ আট হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চেয়েছিল। তবে এলাকাবাসী তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।”

সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আরিফুল শহরের অন্তত চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত। পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার একটি হোটেলে থেকে সে এসব অপকর্ম চালাতো। তার কাছে দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে, যার মধ্যে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা আটক করার সময় স্থানীয়রা নিয়ে নিয়েছে বলে তার দাবি। ওসি আরও জানান, চাকরিচ্যুত এই সাবেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”