ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

খুবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৬:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 2

খুলনায় একটি মেলা আয়োজনের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি কল রেকর্ড ঘিরে শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের স্নাতক শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ। দুজনই ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের খুলনা মহানগর শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

রবিবার (৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, মেলার আয়োজক বগুড়ার মন্টু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মালিক মন্টুর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছেন সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ। অডিওতে আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘১০ টাকা দিলে সব ঠিক থাকবে। না দিলে আজ এক দল, কাল আরেক দল আসবে। কয়জনকে সামলাবেন? আপনার পুলিশ কমিশনারও ঠান্ডা করতে পারবে না।’ নেটিজেনদের ধারণা, কথিত ‘১০ টাকা’ বলতে ১০ লাখ টাকা বোঝানো হয়েছে।

অডিওতে আয়োজক মন্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছে এখনই দুই লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব।’ তবে আজাদের পক্ষ থেকে টাকা ছাড়া মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে আয়োজক মন্টু বলেন, ‘রেকর্ডিংয়ে আমার কণ্ঠই রয়েছে, ঘটনাটি সত্য। তাঁরা এর আগেও টাকা নিয়েছেন।’

অন্যদিকে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর দাবি করেন, ‘ঘটনাটি অনেক আগে হয়েছে। আমরা জড়িত কিনা, তদন্তেই প্রমাণ হবে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে দেখা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘আমি বর্তমানে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে বলেছেন, ‘অরাজনৈতিক স্লোগান থাকলেও কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন। ফাঁস হওয়া অডিওতে তাদের আসল রূপই সামনে এসেছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রকাশঃ ০৬:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

খুলনায় একটি মেলা আয়োজনের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি কল রেকর্ড ঘিরে শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের স্নাতক শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ। দুজনই ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের খুলনা মহানগর শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

রবিবার (৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, মেলার আয়োজক বগুড়ার মন্টু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মালিক মন্টুর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছেন সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ। অডিওতে আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘১০ টাকা দিলে সব ঠিক থাকবে। না দিলে আজ এক দল, কাল আরেক দল আসবে। কয়জনকে সামলাবেন? আপনার পুলিশ কমিশনারও ঠান্ডা করতে পারবে না।’ নেটিজেনদের ধারণা, কথিত ‘১০ টাকা’ বলতে ১০ লাখ টাকা বোঝানো হয়েছে।

অডিওতে আয়োজক মন্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছে এখনই দুই লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব।’ তবে আজাদের পক্ষ থেকে টাকা ছাড়া মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে আয়োজক মন্টু বলেন, ‘রেকর্ডিংয়ে আমার কণ্ঠই রয়েছে, ঘটনাটি সত্য। তাঁরা এর আগেও টাকা নিয়েছেন।’

অন্যদিকে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর দাবি করেন, ‘ঘটনাটি অনেক আগে হয়েছে। আমরা জড়িত কিনা, তদন্তেই প্রমাণ হবে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে দেখা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘আমি বর্তমানে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে বলেছেন, ‘অরাজনৈতিক স্লোগান থাকলেও কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন। ফাঁস হওয়া অডিওতে তাদের আসল রূপই সামনে এসেছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”