রাজ্জাকের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার: ডিএমপি

- প্রকাশঃ ০৮:০০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / 7
আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান | ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদের ঢাকার ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রিয়াদের নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়, যেগুলোয় মোট অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বিষয়টি ঘিরে কলাবাগান থানায় একটি আলাদা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন রিয়াদ। এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর রিয়াদ দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে আরও কেউ এই চাঁদাবাজিতে যুক্ত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, অপরাধে কারও দলীয় পরিচয় মুখ্য নয়; তদন্তেই প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে।
ডিএমপি জানায়, অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক ছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। চাঁদাবাজির ঘটনায় তাঁকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র তথ্য মতে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ থেকে উৎপত্তি হওয়া এই নতুন সংগঠনটি গত ফেব্রুয়ারিতে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রিয়াদ।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি ডিসি বলেন, “ভুক্তভোগী যদি আগেই পুলিশকে জানাতেন, তাহলে এ ধরনের অপরাধ প্রতিহত করা সম্ভব হতো। চাঁদা দেওয়ার পেছনে ভুক্তভোগীদের কোনো দুর্বলতা ছিল কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। মহানগর এলাকায় ৬৬টি চেকপোস্ট ও ৪৭১টি টহল টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”
এছাড়া বিগত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় চালানো অভিযানে ১৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে ডাকাত, চোর, মাদক কারবারি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি এবং অন্যান্য অপরাধী। আপাতত গুলশান চাঁদাবাজির ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।