দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান: লুটপাটের কারণে সব তথ্য দিতে পারিনি

- প্রকাশঃ ১০:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
- / 16
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে। সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, কমিশন গ্রহণ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট দুদক কার্যালয়ে তাঁকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এম এ মান্নান সিলেট দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। পরে বেলা ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যান তিনি।
সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে—সুনামগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কমিশন গ্রহণ, নিয়োগে অনিয়ম ও আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদ অর্জন। এছাড়া গ্রামের বাড়ির জমি সরকারকে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির বিষয়েও জানতে চান দুদক কর্মকর্তারা।
দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাত সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত চলছে। সেজন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কমিশন গ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তাঁর ভাগনে-ভাতিজাসহ একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকেলে প্রতিক্রিয়ায় এম এ মান্নান বলেন, এক মাস আগে থেকেই দুদক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছে। যা যা সম্ভব তথ্য দিয়েছি। তবে আমার ঢাকার ফ্ল্যাট ও বাড়ি লুট হয়েছে, অফিসও ধ্বংস করা হয়েছে। তাই অনেক তথ্য দিতে পারিনি। আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত, একা চিকিৎসা নিতে হয়। কোনোদিন ভূমি অধিগ্রহণের কমিশন নেইনি। আমার আত্মীয়রা ব্যবসা করত, তারা যদি অনিয়ম করে থাকে, তা দুদকই বের করবে।
গত বছরের ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তিনি কারাগার থেকে হাসপাতাল হয়ে জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি শান্তিগঞ্জের বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্ত্রী-সন্তানরা দেশের বাইরে থাকায় বাড়িতে তিনি একাই রয়েছেন।