সুনামগঞ্জে কেন্দ্রীয় জমিয়ত নেতার রহস্যজনক মৃত্যু: গ্রেপ্তার এক

- প্রকাশঃ ০৫:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 4
সুনামগঞ্জে কেন্দ্রীয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সদস্য ও জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী-এর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত নেতার হত্যার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় জমিয়তের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা শনিবার বিকেল থেকে সিলেট–সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মুশতাক গত মঙ্গলবার রাতে সদর থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তিন দিন পর দিরাই উপজেলার একটি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এটি হত্যাকাণ্ড দাবি করা হয় এবং দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
দাবি পূরণ না হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে মদনপুর পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে সুনামগঞ্জ, সিলেট ও দিরাই—তিন দিক থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। বিক্ষুব্ধরা টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চালান।
পরবর্তীতে, রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে পুলিশ জমিয়তের অপরাংশের শান্তিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম. আব্দুল হাফিজকে গ্রেপ্তার করে। ভোরে সিলেট নগরী থেকে তাকে আটক করা হয়।
মুশতাকের স্ত্রী রুবি বেগম রবিবার রাতে দিরাই থানায় আব্দুল হাফিজসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হাফিজ শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দরগাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জমিয়তের (ওয়াক্কাস গ্রুপ) নেতা এবং সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের সমর্থক। অন্যদিকে নিহত মুশতাক একই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরীর আত্মীয় ও সমর্থক ছিলেন।
জমিয়তের একাংশের সম্ভাব্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, “মুশতাক গাজীনগরীর মৃত্যু রহস্য মামলায় আব্দুল হাফিজকে সন্দেহজনকভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জানান, “মামলার এজাহার নামীয় আসামি আব্দুল হাফিজকে ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে আরও কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে মামলায় নতুন আসামি যুক্ত হতে পারে।” দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।