ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা: দুজন শনাক্ত, গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান

ইমতিয়াজ উদ্দিন | জবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১২:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / 5

ছবি: প্রজন্ম কথা


পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী। তিনি বলেন,
“আমরা প্রাথমিকভাবে দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিসি সামী বলেন,
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ভবনের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন সম্ভব হবে।”

প্রতিবেদকের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে বংশালের নূরবক্স রোডের মকথা এলাকায় কালো টি-শার্ট ও ব্যাগপিঠে দুই যুবক দৌড়ে বংশাল রোডের দিকে যাচ্ছেন। পুলিশের ধারণা, তারাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডের একটি ভবনে টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতে আহত হন জুবায়েদ। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনতলায় পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

জুবায়েদ হোসেন ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা: দুজন শনাক্ত, গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান

প্রকাশঃ ১২:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: প্রজন্ম কথা


পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী। তিনি বলেন,
“আমরা প্রাথমিকভাবে দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিসি সামী বলেন,
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ভবনের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন সম্ভব হবে।”

প্রতিবেদকের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে বংশালের নূরবক্স রোডের মকথা এলাকায় কালো টি-শার্ট ও ব্যাগপিঠে দুই যুবক দৌড়ে বংশাল রোডের দিকে যাচ্ছেন। পুলিশের ধারণা, তারাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডের একটি ভবনে টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতে আহত হন জুবায়েদ। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনতলায় পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

জুবায়েদ হোসেন ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”