২৯ বছরের রহস্য ভাঙল: সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছিল ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে
- প্রকাশঃ ১১:৩১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
- / 4
সালমান শাহ | ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ মৃত্যুকে অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা দাবি করলেও, সালমান শাহর পরিবার বিশ্বাস করে তিনি সুপারিশিতভাবে হত্যা হয়েছেন।
গত ২০ অক্টোবর আদালত সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন। একই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম।
দীর্ঘদিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসছে ১৯৯৭ সালে আসামি রেজভী আহমেদ ফরহাদের দেওয়া জবানবন্দি। ওই জবানবন্দিতে রেজভী স্বীকার করেছেন, “আমরা সালমান শাহকে হত্যা করেছি। হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে সাজানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে সামিরা, তার মা লুসি ও অনেকে জড়িত।”
রেজভী জানান, সালমান শাহ হত্যার জন্য ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল, যা করেছিল শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এই হত্যায় আরও জড়িত ছিলেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ, এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে অংশ নেন আজিজ ভাই, রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী নিজেও।
রেজভী বর্ণনা দেন, ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলিস্তানের একটি বারে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও রেজভী মিলে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সামিরার মা প্রথমে ২ লাখ টাকা দেন। পরে ৪ লাখ টাকা আরও যোগ করা হয়। হত্যার দিন রাত আড়াইটায় সালমান শাহের বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত নায়ককে ক্লোরোফর্মের মাধ্যমে বেহুশ করা হয়। এরপর তাকে ইনজেকশন ও শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়, এবং পরে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তার দেহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ঢালিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র সালমান শাহের মৃত্যু ঘটেছিল। সব সময় এটি অপমৃত্যু হিসেবে ধরা হলেও, বিভিন্ন তদন্ত কমিটিই সত্যকে এড়িয়ে গেছে। দীর্ঘ ২৯ বছর পর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলার হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সত্যের খোঁজ নতুন দিক পেয়েছে।
বর্তমানে সালমান শাহ হত্যা মামলায় মোট ১১ জন আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান আসামি সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, অন্য আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।


























