ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবির ভিসি ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশঃ ০১:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 26

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি) এর বাজেট বৃদ্ধি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার(৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন ও বিজ্ঞান ভবন ঘুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে সমাবেশ করেন তারা। ঘন্টা দুয়েক উপচার্য ভবন আটকে রেখে আগামী সপ্তাহে লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ শেষ করেন শিক্ষার্থারা।

এ সময় তাঁরা ‘খুলবে না আর খুলবে না’, ‘এই তালা আর খুলবে না’, ‘আমাদের দাবী,আমাদের দাবী মানতে হবে মানতে হবে’, ‘প্রশাসনের বাজেট মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্যের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, বৈষম্যের বাজেট বাতিল চাই’, ‘ইউজিসির বৈষম্য মানি না মানবো না’, ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য মানি না মানবো না’ , ‘বৈষম্যের গদিতে, আগুন জালো একসাথে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এই সময় ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজীল বলেন, “আমরা আমাদের এই প্রশাসনের প্রতি চরম হতাশ।আমাদের জুলাই আন্দোলনের কারণেই তারা চেয়ারে বসতে পেরেছে।কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের দাবী পূরণে ব্যর্থ।আমাদের আস্থার জায়গাটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে।জগন্নাথের মতো একটা জায়গার চেয়ারে থেকে যদি এমন করেন তাহলে বলবো প্লিজ চেয়ারটা ছেড়ে দেন।”

আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “যুগ যুগ ধরে জবিয়ানেরা বৈষম্যের শিকার।প্রশাসনের উচিত ছিলো এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।কিন্ত তারা তা করেনি।আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঘোষণা করতে চাই যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেও আপনারা আমাদের দাবী মেনে না নেন তাহলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহন করবো।পরবর্তীতে যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের দায়ভার দিতে পারবেন না।আপনাদের ভালোই ভালোই বলছি আমাদের এই দাবী মেনে নেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ” চার দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।”

আগামী সপ্তাহে লং মার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান তিনি।

সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত চার দফা দাবিগুলো হলো:

১. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি,

২. অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।

৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ।

৪. পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ।আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।

ইমতিয়াজ উদ্দিন- জবি প্রতিনিধি

প্রাসঙ্গিক

শেয়ার করুন

জবির ভিসি ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ ০১:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি) এর বাজেট বৃদ্ধি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার(৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন ও বিজ্ঞান ভবন ঘুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে সমাবেশ করেন তারা। ঘন্টা দুয়েক উপচার্য ভবন আটকে রেখে আগামী সপ্তাহে লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ শেষ করেন শিক্ষার্থারা।

এ সময় তাঁরা ‘খুলবে না আর খুলবে না’, ‘এই তালা আর খুলবে না’, ‘আমাদের দাবী,আমাদের দাবী মানতে হবে মানতে হবে’, ‘প্রশাসনের বাজেট মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্যের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, বৈষম্যের বাজেট বাতিল চাই’, ‘ইউজিসির বৈষম্য মানি না মানবো না’, ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য মানি না মানবো না’ , ‘বৈষম্যের গদিতে, আগুন জালো একসাথে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এই সময় ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজীল বলেন, “আমরা আমাদের এই প্রশাসনের প্রতি চরম হতাশ।আমাদের জুলাই আন্দোলনের কারণেই তারা চেয়ারে বসতে পেরেছে।কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের দাবী পূরণে ব্যর্থ।আমাদের আস্থার জায়গাটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে।জগন্নাথের মতো একটা জায়গার চেয়ারে থেকে যদি এমন করেন তাহলে বলবো প্লিজ চেয়ারটা ছেড়ে দেন।”

আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “যুগ যুগ ধরে জবিয়ানেরা বৈষম্যের শিকার।প্রশাসনের উচিত ছিলো এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।কিন্ত তারা তা করেনি।আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঘোষণা করতে চাই যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেও আপনারা আমাদের দাবী মেনে না নেন তাহলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহন করবো।পরবর্তীতে যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের দায়ভার দিতে পারবেন না।আপনাদের ভালোই ভালোই বলছি আমাদের এই দাবী মেনে নেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ” চার দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।”

আগামী সপ্তাহে লং মার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান তিনি।

সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত চার দফা দাবিগুলো হলো:

১. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি,

২. অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।

৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ।

৪. পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ।আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।

ইমতিয়াজ উদ্দিন- জবি প্রতিনিধি