ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গকসু নির্বাচন: আশ্বাসের দুই মাস, বাস্তবের শূন্যতা

  • প্রকাশঃ ০৬:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / 6

 

সাত বছরের প্রতীক্ষার পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ঘোষণায় আশার আলো দেখেছিলেন। মনে জেগেছিল গণতন্ত্রচর্চার সম্ভাবনা, উন্মেষ ঘটেছিল অংশগ্রহণের স্পৃহা। কিন্তু সেই আশার দু’মাস পার হলেও এখনও ঘোষণা হয়নি নির্বাচনের তফসিল, নেই কোনো রোডম্যাপ কিংবা দৃশ্যমান প্রস্তুতি। এতে করে ফের প্রশ্ন উঠেছে—গকসু নির্বাচন কি তবে প্রশাসনের আরেকটি আশ্বাসমাত্র?

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গবিই দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) রয়েছে। তবে সর্বশেষ নির্বাচনের পর টানা সাত বছর ধরে সেটি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। অবশেষে চলতি বছরে ২৩ মার্চ গঠিত হয় ৯ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন, যার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান আইন বিভাগের সভাপতি রফিকুল আলম। ঘোষণাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আশাবাদ তৈরি করলেও দুই মাস পরও নির্বাচনী কোনো কার্যক্রম না থাকায় হতাশা বাড়ছে।

প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে সেখানকার ক্যম্পাসজুগে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে, ছাত্ররাজনীতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা, সমালোচনা। আর গবির ক্যাম্পাস যেন শুধুই একরাশ শূন্যতা আর এক বিষণ্ণ প্রতীক্ষা।

প্রশাসনের তালবাহানা নিয়ে গবির রাজনীতি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তার নূরী বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন শুরুটা করলেও এরপর অজুহাত আর নানাবিধ ছলাকলা দেখিয়ে বিষয়গুলো আড়ালে রাখে । গকসু নির্বাচনও কি সেই একই দিকে মোড় নিচ্ছে? শিক্ষার্থীদের উচিত এখনই নিজেদের বাকশক্তিকে দৃঢ় করা প্রশাসনের এরুপ তালবাহানার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’

ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী মাজেদ সালাফি গকসু নিবার্চন নিয়ে হতাশা আর সমাধানের ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, গকসুর উদ্দেশ্যই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে তৈরি করা। কিন্তু এখানে প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই আছে জটিলতার ছায়া। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে উদ্দ্যম প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছে, সেখানে আমাদের পিছিয়ে থাকা হতাশাজনক। সকল প্রহসন ও আলসেমি ঝেড়ে উৎসবমুখর আমেজ নিশ্চিত করে গকসু নির্বাচন দেওয়া অতিব জরুরি । ”

এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইন বিভাগের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন হবে কিন্তু কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার । ভোটার তালিকা, রোডম্যাপ-তফসিলসহ নানানআলোচনার বিষয় আছে কিছু সংশোধন সংযোজন-বিয়োজনের বিষয়াদি আছে। একই সাথে জাতীয় বিষয়াদিও আছে।”

শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, বড় অনুষদের শিক্ষকরা কমিশনে না আসায় নির্বাচন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে আঙুল তুলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন এখনো কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি।

গবি সংবাদদাতা : আদিবা রহমান

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গকসু নির্বাচন: আশ্বাসের দুই মাস, বাস্তবের শূন্যতা

প্রকাশঃ ০৬:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

 

সাত বছরের প্রতীক্ষার পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ঘোষণায় আশার আলো দেখেছিলেন। মনে জেগেছিল গণতন্ত্রচর্চার সম্ভাবনা, উন্মেষ ঘটেছিল অংশগ্রহণের স্পৃহা। কিন্তু সেই আশার দু’মাস পার হলেও এখনও ঘোষণা হয়নি নির্বাচনের তফসিল, নেই কোনো রোডম্যাপ কিংবা দৃশ্যমান প্রস্তুতি। এতে করে ফের প্রশ্ন উঠেছে—গকসু নির্বাচন কি তবে প্রশাসনের আরেকটি আশ্বাসমাত্র?

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গবিই দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) রয়েছে। তবে সর্বশেষ নির্বাচনের পর টানা সাত বছর ধরে সেটি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। অবশেষে চলতি বছরে ২৩ মার্চ গঠিত হয় ৯ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন, যার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান আইন বিভাগের সভাপতি রফিকুল আলম। ঘোষণাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আশাবাদ তৈরি করলেও দুই মাস পরও নির্বাচনী কোনো কার্যক্রম না থাকায় হতাশা বাড়ছে।

প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে সেখানকার ক্যম্পাসজুগে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে, ছাত্ররাজনীতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা, সমালোচনা। আর গবির ক্যাম্পাস যেন শুধুই একরাশ শূন্যতা আর এক বিষণ্ণ প্রতীক্ষা।

প্রশাসনের তালবাহানা নিয়ে গবির রাজনীতি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তার নূরী বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন শুরুটা করলেও এরপর অজুহাত আর নানাবিধ ছলাকলা দেখিয়ে বিষয়গুলো আড়ালে রাখে । গকসু নির্বাচনও কি সেই একই দিকে মোড় নিচ্ছে? শিক্ষার্থীদের উচিত এখনই নিজেদের বাকশক্তিকে দৃঢ় করা প্রশাসনের এরুপ তালবাহানার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’

ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী মাজেদ সালাফি গকসু নিবার্চন নিয়ে হতাশা আর সমাধানের ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, গকসুর উদ্দেশ্যই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে তৈরি করা। কিন্তু এখানে প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই আছে জটিলতার ছায়া। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে উদ্দ্যম প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছে, সেখানে আমাদের পিছিয়ে থাকা হতাশাজনক। সকল প্রহসন ও আলসেমি ঝেড়ে উৎসবমুখর আমেজ নিশ্চিত করে গকসু নির্বাচন দেওয়া অতিব জরুরি । ”

এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইন বিভাগের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন হবে কিন্তু কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার । ভোটার তালিকা, রোডম্যাপ-তফসিলসহ নানানআলোচনার বিষয় আছে কিছু সংশোধন সংযোজন-বিয়োজনের বিষয়াদি আছে। একই সাথে জাতীয় বিষয়াদিও আছে।”

শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, বড় অনুষদের শিক্ষকরা কমিশনে না আসায় নির্বাচন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে আঙুল তুলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন এখনো কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি।

গবি সংবাদদাতা : আদিবা রহমান

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”