ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি, অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম শাটডাউনের ঘোষণা

  • প্রকাশঃ ০৩:১১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 18

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ২০ দিন ধরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’-এর ব্যানারে এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ইতিপূর্বে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত না করে সম্প্রতি স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষাসূচি পুনরায় ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে।গতকাল রবিবার (১১ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ আগামী ১২ মে, ২০২৫ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের (শাটডাউন) ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে এবং কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না।শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, একটি ‘শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ’ থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি সুষ্ঠু ও দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষকদেরও তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে দাঁড়ানো উচিত। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তারা একটি দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস এবং মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাজীবন চান। এই ন্যায্য সংগ্রামে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকবান শিক্ষকদের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন জানাবেন।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই লাগাতার আন্দোলন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক শাটডাউনের ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন জাতীয়ভাবে কতটা প্রভাব ফেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন দেখার বিষয়।

আবদুল্লাহ আল শাহিদ খান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি, অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম শাটডাউনের ঘোষণা

প্রকাশঃ ০৩:১১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ২০ দিন ধরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’-এর ব্যানারে এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ইতিপূর্বে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত না করে সম্প্রতি স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষাসূচি পুনরায় ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে।গতকাল রবিবার (১১ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ আগামী ১২ মে, ২০২৫ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের (শাটডাউন) ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে এবং কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না।শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, একটি ‘শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ’ থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি সুষ্ঠু ও দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষকদেরও তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে দাঁড়ানো উচিত। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তারা একটি দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস এবং মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাজীবন চান। এই ন্যায্য সংগ্রামে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকবান শিক্ষকদের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন জানাবেন।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই লাগাতার আন্দোলন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক শাটডাউনের ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন জাতীয়ভাবে কতটা প্রভাব ফেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন দেখার বিষয়।

আবদুল্লাহ আল শাহিদ খান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা