পর্দা নামলো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম নাট্যোৎসবের

- প্রকাশঃ ০৮:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / 78
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে নয়দিনব্যাপী ৯ম বার্ষিক নাট্যোৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১২ মে) ‘মুক্তি’ নাটকের প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্দা নামে এ আয়োজনের।
৪ মে শুরু হওয়া এ উৎসবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১৮ জন শিক্ষার্থীর নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় মোট ১৮টি নাটক। চতুর্থ বর্ষের ‘নাট্য নির্দেশনা (ব্যবহারিক)’ কোর্সের অংশ হিসেবে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। কোর্সটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয় তৃপ্তি রাণী রায়ের ‘ইতি বিনোদিনী’ ও মনিসা সাহার ‘কোকিলারা’। এরপর ধারাবাহিকভাবে মঞ্চে আসে আফিয়া জাহান প্রার্থনার ‘তেজ’, শাকিল আহমেদের ‘ভার্সেস অব ব্লাড অ্যান্ড ফায়ার’, জাফরিন হক তরুর ‘কোয়েশ্চান মার্ক’, পিপাসা সাহা
গৌরীর ‘লেডি আওই’, পরাগ বর্মণের ‘বীক্ষণ’, ইশরাত জান্নাতের ‘পাখি’, রাফেল আফ্রাদের ‘ভেরোনিকার নতুন জীবন’, ফারহানা আমবেরীন লিওনার ‘অতসী মামী’, পল্লব কুমার বিশ্বাসের ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’, ফাতেমা তুজ যাহরার ‘জ্বিনের বাদশা’, মো. শাহীন আলমের ‘লবিং’, সামিয়া সুলতানা চারুর ‘মৃত্যুঞ্জয়’, প্রিয়াংকা রাণী দাসের ‘ডলস হাউজ’, লাবণী রাণী পন্ডিতের ‘গেম অব গ্রিড’, সুমাইয়া খান কানিজের ‘দ্যা স্টেশনারি শপ অব তেহরান’ এবং হাবিবা আক্তার পিংকীর নির্দেশনায় ‘মুক্তি’।
নাট্যোৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনেস্ট্রেটর আরিফ হাসান বলেন, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা আয়োজিত ৯ম নাট্য উৎসব এটা মূলত ২০১৯-২০ সেশন এর ৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিষ্টার নাট্য নির্দেশনা (ব্যবহারিক) পরীক্ষা। একটা ছাত্র নাট্যকলা বিভাগে তার চার বছরে কি কি শেখে বুঝে তার কিছুটা প্রতিফলন পাওয়া যায় শিক্ষানবিশ এই মঞ্চ উপস্থাপনায়। তারা কিন্ত পুরোদমে নির্দেশক হয়ে যায়নি। নির্দেশক হিসেবে তাদের চিন্তার পরিসর কতদূর যেতে পারে তার কিছুটা ইঙ্গিত আমরা এই মঞ্চে দেখতে পারি। মঞ্চ শিল্প নিয়ে তাদের যাত্রাপথ আলোকিত হোক।
এই বিষয়ে থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. কামাল উদ্দীন বলেন, বার্ষিক নাট্যোৎসব আমাদের বিভাগে প্রতি বছরই হয় এবং এবার নবম বছরে পদার্পণ করছি। যদিও এটি কোর্সের কাজ, তবুও আমরা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিন্তা, দক্ষতা ও নির্দেশনার কৌশল দর্শকের সামনে তুলে ধরতে চাই। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য শেখার একটি ক্ষেত্র, যেখানে শুধু পরীক্ষকের মূল্যায়নই নয়, দর্শকের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
সমাপনী দিনে অন্য বিভাগের অংশগ্রহণকারী অভিনেতাদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১৮ জন শিক্ষার্থী নির্দেশককে দেওয়া হয় তাঁদের নাটকের পোস্টার সংবলিত শুভেচ্ছা স্মারক।