বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান আয়োজনে ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী’ পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়। আয়োজনে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী।

বক্তব্যের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরো বাংলার কবি ছিলেন। তার লেখনীর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারা যুক্ত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা বলেন, রবীন্দ্রনাথ কখনো ফ্যাসিস্টের পক্ষ নেন নি বা সহযোগিতা করেননি। হিটলার যখন হামলা শুরু করে রবীন্দ্রনাথ তখন মিত্র শক্তির পক্ষ নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের জায়গা থেকে তিনি চেয়েছিলেন বাংলা যেনো ভাগ না হয়। যাতে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির শক্তি দৃঢ় থাকে। অনেকে এখন জাতীয় সঙ্গীতকে নিয়ে অনেক মন্তব্য করেন কিন্তু রবীন্দ্রনাথের জায়গা থেকে দেখলে তাকে দোষারোপ করার কিছু নেই। তাই গবেষণা না করে, রবীন্দ্র সাহিত্য না পরে, সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করে ঢালাওভাবে তার

বিষয়ে মন্তব্য করা আমি উচিত মনে করি না।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভগের অধ্যাপক ড. মো. সরওয়ার মুর্শেদ। বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স), থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিভগীয় প্রধান ড. মো. কামাল উদ্দিন ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইয়াত সিংহ শুভ।

ইতিহাস বিভগের প্রভাষক মো. জিল্লাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, আইন অনুষদের ডিন ড. মো. ইফরান আজিজ, প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া দিনের অন্য আয়োজনে বিকেলে রম্য বিতর্ক, আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত ও নৃত্যনাট্য চন্ডালিকার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিবেদক:ইকবাল মাহমুদ

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা