ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূস পেলেন ডি.লিট সম্মাননা; গর্বিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • প্রকাশঃ ১০:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 49

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে ২২,৫৬০ জন শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রফেসর ড. ইউনূসকে সম্মান সূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১:৩০ থেকে সমাবর্তনের মূল আয়োজন শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়। সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন প্রাণের এই ক্যাম্পাসে। চবির প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে এই ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১লক্ষ বর্গফুট প্যান্ডেল ও ২৩১২ একরের বিশাল ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে জমকালো আয়োজনে।

এই আয়োজনে ২২ জন পিএইচডি ও ১৭ জন এমফিল ডিগ্রিধারীসহ অন্তত ২২ হাজার ৫৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা পরিবার-পরিজনদের নিয়ে তাদের সফলতার কাঙ্খিত মুহূর্ত উপভোগ করতে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবর্তনের আকর্ষণ প্রধান উপদেষ্টা ও চবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সমাবর্তনে ও নিজের কর্মস্থলে ফিরে আবেগে আপ্লুত ও অতীত স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত যা করে যাচ্ছি, তার সবই জোবরা থেকে পাওয়া শিক্ষারই বহিঃপ্রকাশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতিকে শুরু করতে হবে মানুষকে কেন্দ্র করে, ব্যবসাকে নয়। জোবরা ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। নোবেল পুরস্কারের বীজবপন হয়েছে এখান থেকেই “

সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের শহর থেকে ক্যাম্পাসে আনা-নেওয়ার জন্য ১০০টি বাস ও চবির ৪টি শাটল ট্রেন নিয়োজিত ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল জোরদার। প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফ, পুলিশ, র‍্যাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ২৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল।মূল প্যান্ডেলের নিরাপত্তাও ছিল বেশ লক্ষণীয়।

দূর-দূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা অনেকেই প্রিয় মানুষদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তাদের কাঙ্ক্ষিত সমাবর্তনে।তাদের আনন্দে ছেয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস। এবারের সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন ধারীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক ও একাডেমিক), শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিডা ও বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এছাড়াও ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজসহ সমাবর্তনের অন্যান্য বক্তা,শিক্ষক অধ্যাপকরাও উপস্থিত ছিলেন।

চবিতে এর আগে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৬ ও ২০০৮ সালে। এবারের সমাবর্তন ছিল ব্যতিক্রমধর্মী ও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রতিবেদক:সালাহ উদ্দিন আহমেদ

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

ড. ইউনূস পেলেন ডি.লিট সম্মাননা; গর্বিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশঃ ১০:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে ২২,৫৬০ জন শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রফেসর ড. ইউনূসকে সম্মান সূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১:৩০ থেকে সমাবর্তনের মূল আয়োজন শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়। সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন প্রাণের এই ক্যাম্পাসে। চবির প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে এই ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১লক্ষ বর্গফুট প্যান্ডেল ও ২৩১২ একরের বিশাল ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে জমকালো আয়োজনে।

এই আয়োজনে ২২ জন পিএইচডি ও ১৭ জন এমফিল ডিগ্রিধারীসহ অন্তত ২২ হাজার ৫৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা পরিবার-পরিজনদের নিয়ে তাদের সফলতার কাঙ্খিত মুহূর্ত উপভোগ করতে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবর্তনের আকর্ষণ প্রধান উপদেষ্টা ও চবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সমাবর্তনে ও নিজের কর্মস্থলে ফিরে আবেগে আপ্লুত ও অতীত স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত যা করে যাচ্ছি, তার সবই জোবরা থেকে পাওয়া শিক্ষারই বহিঃপ্রকাশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতিকে শুরু করতে হবে মানুষকে কেন্দ্র করে, ব্যবসাকে নয়। জোবরা ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। নোবেল পুরস্কারের বীজবপন হয়েছে এখান থেকেই “

সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের শহর থেকে ক্যাম্পাসে আনা-নেওয়ার জন্য ১০০টি বাস ও চবির ৪টি শাটল ট্রেন নিয়োজিত ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল জোরদার। প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফ, পুলিশ, র‍্যাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ২৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল।মূল প্যান্ডেলের নিরাপত্তাও ছিল বেশ লক্ষণীয়।

দূর-দূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা অনেকেই প্রিয় মানুষদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তাদের কাঙ্ক্ষিত সমাবর্তনে।তাদের আনন্দে ছেয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস। এবারের সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন ধারীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক ও একাডেমিক), শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিডা ও বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এছাড়াও ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজসহ সমাবর্তনের অন্যান্য বক্তা,শিক্ষক অধ্যাপকরাও উপস্থিত ছিলেন।

চবিতে এর আগে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৬ ও ২০০৮ সালে। এবারের সমাবর্তন ছিল ব্যতিক্রমধর্মী ও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রতিবেদক:সালাহ উদ্দিন আহমেদ

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা