নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চলচ্চিত্রকর্ম: পাইরেসি প্রতিরোধে কপিরাইট আইন ২০২৩’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

- প্রকাশঃ ০২:৩২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
- / 26
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চলচ্চিত্রকর্ম: পাইরেসি প্রতিরোধে কপিরাইট আইন ২০২৩’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কপিরাইট অফিস এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
রবিবার (১৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও কপিরাইট বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মেধাবী মানুষদের সৃষ্টিকর্ম যেন অন্য কেউ অবৈধভাবে ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ কীভাবে নেওয়া যায় এবং দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তা কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব—এ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের জানানো হয়।
সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আজকে যে বিষয়ের উপর সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। পাইরেসি প্রতিরোধে কপিরাইট আইন সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে শুধু একটি নয় আরও সেমিনার হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স সেল (আই.কিউ.এ.সি) এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেমিনারগুলো আয়োজন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট রেজিস্ট্রার (যুগ্মসচিব) জনাব মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান এবং কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হুদা। সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিল্লুর রহমান পল এবং সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা সিকদার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কপিরাইট বোর্ডের সাবেক রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনজুরুর রহমান। তিনি বলেন, পাইরেসি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মেধাবী মানুষের সৃষ্টিশীল কাজ যেন অবৈধভাবে ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করতে কপিরাইট আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আজকের আলোচনায় ছাত্রছাত্রীরা যে প্রশ্ন করেছে এবং তার যে উত্তর পেয়েছে, তাতে তারা প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। তবে এ বিষয়টি একদিনে শেষ হয়ে যাওয়ার মতো নয়; নিয়মিত চর্চা ও এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
সেমিনার শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করে কপিরাইট অফিস।
প্রতিবেদন: ইকবাল মাহমুদ