ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাভাবিপ্রবির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি: নিহত শিক্ষার্থীর মো. জুনায়েদ, তিনি ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. জুনায়েদ, তিনি ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কাগমারী এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রাবাসটি সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. ইমাম হোসেন বলেন,
“সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে খবর দিলে আমি উপাচার্য মহোদয়কে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হলে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, জুনায়েদ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন। সম্ভবত সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।”

কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন,
“প্রক্টরের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।”

জুনায়েদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার পুবাইল এলাকায়। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

জনপ্রিয় সংবাদ

মাভাবিপ্রবির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

মাভাবিপ্রবির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশঃ ০৭:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. জুনায়েদ, তিনি ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কাগমারী এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রাবাসটি সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. ইমাম হোসেন বলেন,
“সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে খবর দিলে আমি উপাচার্য মহোদয়কে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হলে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, জুনায়েদ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন। সম্ভবত সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।”

কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন,
“প্রক্টরের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।”

জুনায়েদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার পুবাইল এলাকায়। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”