ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত

রাকিবুল হাসান মুন্না । বেরোবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৮:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 5

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে (বেরোবি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী ও সরকার ঘোষিত ‘জুলাই শহীদ দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শহীদের গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরে যাত্রার মধ্য দিয়ে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতে অংশ নেন।

পরে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে এক শোক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি প্রধান ফটক, শহীদ আবু সাঈদ চত্বর, মর্ডাণ মোড় হয়ে ‘শহীদ আবু সাঈদ গেট’ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। সকাল ১০টায় শহীদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ১০টা ১৫ মিনিটে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশবাদী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ ফয়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।

সভায় আবু সাঈদের বাবা বলেন, “আবু সাঈদ শুধু আমার ছেলে নয়, সে ছিল দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ এক সৈনিক। তার আত্মত্যাগ যেন নতুন প্রজন্মের চোখ খুলে দেয়, এটাই আমার প্রার্থনা।”

ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আবু সাঈদের মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরুণদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হয়।”

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আবু সাঈদ আমাদের জন্য সাহসের ভাষা। তিনি দেখিয়েছেন সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রামই প্রকৃত শিক্ষা।”

সভা শেষে রংপুর অঞ্চলের শহীদ পরিবারকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতি কর্ণার উদ্বোধন করেন শহীদের পিতা। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি বিকেলে চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীও অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সক্রিয়ভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত

প্রকাশঃ ০৮:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে (বেরোবি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী ও সরকার ঘোষিত ‘জুলাই শহীদ দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শহীদের গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরে যাত্রার মধ্য দিয়ে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতে অংশ নেন।

পরে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে এক শোক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি প্রধান ফটক, শহীদ আবু সাঈদ চত্বর, মর্ডাণ মোড় হয়ে ‘শহীদ আবু সাঈদ গেট’ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। সকাল ১০টায় শহীদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ১০টা ১৫ মিনিটে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশবাদী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ ফয়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।

সভায় আবু সাঈদের বাবা বলেন, “আবু সাঈদ শুধু আমার ছেলে নয়, সে ছিল দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ এক সৈনিক। তার আত্মত্যাগ যেন নতুন প্রজন্মের চোখ খুলে দেয়, এটাই আমার প্রার্থনা।”

ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আবু সাঈদের মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরুণদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হয়।”

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আবু সাঈদ আমাদের জন্য সাহসের ভাষা। তিনি দেখিয়েছেন সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রামই প্রকৃত শিক্ষা।”

সভা শেষে রংপুর অঞ্চলের শহীদ পরিবারকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতি কর্ণার উদ্বোধন করেন শহীদের পিতা। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি বিকেলে চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীও অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সক্রিয়ভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”