ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠ সংস্কারে ধীরগতি, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১১:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / 3

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি খেলার মাঠ। কিন্তু সেই মাঠটিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের নামে খুড়ে ও মাটির স্তূপ ফেলে খেলাধুলার অনুপযোগী করে রাখা হয়েছে। এতে খেলাধুলা ও শারীরিক চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, আর এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা। প্রাথমিক ধাপে মাঠে হালচাষ দিয়ে মাটি সরানোর কাজ শুরু হলেও কয়েক মাস পার হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। জুন মাসে কিছু মাটি ফেলা হলেও কাজ কার্যত থেমে আছে। মাঠের বর্তমান চেহারা হালচাষকৃত পরিত্যক্ত জমির মতো।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠে প্রায় ৩০০ গাড়ি মাটি ফেলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ফেলা হয়েছে মাত্র ৬০-৭০ গাড়ি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৃষ্টির অজুহাতে মাটি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এবং এরই মধ্যে কিছু জায়গায় নিম্নমানের বালুযুক্ত মাটিও ফেলা হয়েছে।

মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সিফাত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। ফলে নিয়মিত অনুশীলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়রা। ইনডোর টুর্নামেন্ট শেষ হলেও মাঠ না থাকায় আউটডোর টুর্নামেন্ট করা যাচ্ছে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক কাজি সালমান বলেন, “মাঠের সংস্কার কাজ অনেক আগেই শুরু হলেও তা এখনো শেষ হয়নি। বৃষ্টির কারণে কাজ থেমে আছে শুনছি, তবে আমাদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে—এটাই বাস্তবতা।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদীন বলেন, “বৃষ্টির কারণে আশপাশের জমিগুলো জলমগ্ন থাকায় ঠিকাদার মাটি সংগ্রহে সমস্যায় পড়েছে। তবে মাঠ সংস্কারের জন্য তিন মাস সময় নির্ধারিত আছে, যা শেষ হবে ১৮ আগস্ট। আমরা চেষ্টা করছি সময়মতো কাজ শেষ করতে।”

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘসূত্রতায় না গিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে মাঠটি শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও উপযোগী করে তোলাই এখন সময়ের দাবি।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠ সংস্কারে ধীরগতি, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ ১১:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি খেলার মাঠ। কিন্তু সেই মাঠটিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের নামে খুড়ে ও মাটির স্তূপ ফেলে খেলাধুলার অনুপযোগী করে রাখা হয়েছে। এতে খেলাধুলা ও শারীরিক চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, আর এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা। প্রাথমিক ধাপে মাঠে হালচাষ দিয়ে মাটি সরানোর কাজ শুরু হলেও কয়েক মাস পার হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। জুন মাসে কিছু মাটি ফেলা হলেও কাজ কার্যত থেমে আছে। মাঠের বর্তমান চেহারা হালচাষকৃত পরিত্যক্ত জমির মতো।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠে প্রায় ৩০০ গাড়ি মাটি ফেলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ফেলা হয়েছে মাত্র ৬০-৭০ গাড়ি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৃষ্টির অজুহাতে মাটি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এবং এরই মধ্যে কিছু জায়গায় নিম্নমানের বালুযুক্ত মাটিও ফেলা হয়েছে।

মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সিফাত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। ফলে নিয়মিত অনুশীলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়রা। ইনডোর টুর্নামেন্ট শেষ হলেও মাঠ না থাকায় আউটডোর টুর্নামেন্ট করা যাচ্ছে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক কাজি সালমান বলেন, “মাঠের সংস্কার কাজ অনেক আগেই শুরু হলেও তা এখনো শেষ হয়নি। বৃষ্টির কারণে কাজ থেমে আছে শুনছি, তবে আমাদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে—এটাই বাস্তবতা।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদীন বলেন, “বৃষ্টির কারণে আশপাশের জমিগুলো জলমগ্ন থাকায় ঠিকাদার মাটি সংগ্রহে সমস্যায় পড়েছে। তবে মাঠ সংস্কারের জন্য তিন মাস সময় নির্ধারিত আছে, যা শেষ হবে ১৮ আগস্ট। আমরা চেষ্টা করছি সময়মতো কাজ শেষ করতে।”

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘসূত্রতায় না গিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে মাঠটি শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও উপযোগী করে তোলাই এখন সময়ের দাবি।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”