ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই বিপ্লবের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

ইমতিয়াজ উদ্দিন । জবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১১:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জুলাই বিপ্লব-২০২৪ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ (সুযোগ-সমস্যা-উত্তরণ)  শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের ফিন্যান্স বিভাগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা বিপ্লব ও মাইলস্টোন ট্রাজেডিকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কুরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপর সকল অংশগ্রহণকারীর হাতে কালো ব্যাজ পরিয়ে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বায়েজিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাঃ ওমর ফারুক।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রবন্ধ পাঠ, অভিজ্ঞতা বিনিময়, কবিতা আবৃত্তি ও মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কবিতার মাধ্যমে আন্দোলনের আবেগ ও চেতনা প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই এই ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। এই বিপ্লব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উৎসাহিত করবে।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের মধ্যে যদি বিভক্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ইতিহাসে আরেকটি ‘বিদ্রোহ পার্ক’ যুক্ত হতে পারে। এই ঐক্য রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন, যেখানে আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত এবং প্রতিবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ফুটে ওঠে।

সবশেষে অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া পরিচালনা করেন। এ আয়োজন জবির ইতিহাসে একটি অনন্য ও চেতনা জাগানিয়া অধ্যায় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

জুলাই বিপ্লবের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১১:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জুলাই বিপ্লব-২০২৪ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ (সুযোগ-সমস্যা-উত্তরণ)  শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের ফিন্যান্স বিভাগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা বিপ্লব ও মাইলস্টোন ট্রাজেডিকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কুরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপর সকল অংশগ্রহণকারীর হাতে কালো ব্যাজ পরিয়ে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বায়েজিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাঃ ওমর ফারুক।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রবন্ধ পাঠ, অভিজ্ঞতা বিনিময়, কবিতা আবৃত্তি ও মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কবিতার মাধ্যমে আন্দোলনের আবেগ ও চেতনা প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই এই ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। এই বিপ্লব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উৎসাহিত করবে।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের মধ্যে যদি বিভক্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ইতিহাসে আরেকটি ‘বিদ্রোহ পার্ক’ যুক্ত হতে পারে। এই ঐক্য রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন, যেখানে আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত এবং প্রতিবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ফুটে ওঠে।

সবশেষে অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া পরিচালনা করেন। এ আয়োজন জবির ইতিহাসে একটি অনন্য ও চেতনা জাগানিয়া অধ্যায় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”