জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এইড ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে গত ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার সরকারি বাঙলা কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলা এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ বিনামূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা গ্রহণ করেন।
ক্যাম্পে বিনামূল্যে যেসব সেবা প্রদান করা হয় তার মধ্যে ছিল— রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, রক্তচাপ মাপা, বিএমআই ও উচ্চতা পরিমাপ, বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ এবং ডেন্টাল চেকআপ। চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ডা. সাদিয়া শাহনাজ ও ডা. মঞ্জুর আলম, দুজনেই ডেন্টাল সার্জন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মনোয়ারা হাসপাতাল। চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মো. তানভীর আহমেদ সোহানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দল। পুষ্টিবিদ টিমের নেতৃত্বে ছিলেন আমিনা শাহনাজ হাশমি। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নাঈমা রুবী, সিরাজাম মুনিরা, শারমিন আহমেদ এবং সহযোগী হিসেবে কাজ করেন উর্মিলা জাহান রিতু, আনিকা তাহসিন বার্ণনা, মেহনাজ নুসরাত জেরিনসহ পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশনের ১০ সদস্যের একটি অভিজ্ঞ প্রতিনিধি দল। এই আয়োজনের অর্গানাইজিং পার্টনার হিসেবে ছিল মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশন এবং হেলথ ও নিউট্রিশন পার্টনার ছিল পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল লিও ক্লাব অব সরকারি বাঙলা কলেজ।
এছাড়া লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল কালার সাইন ও টিএস ট্রেডিং কর্পোরেশন। ইভেন্ট পার্টনার ছিল Custoin এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি ও দৈনিক জনপদ বার্তা। এইড ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বায়েজিদ আনাম বলেন, “জুলাই আমাদের আবারও নতুন করে শেখায় কীভাবে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি যে মানুষ মানুষের জন্য।
মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাব্বির আহমেদ বলেন, মানবতার সৌন্দর্য তখনই প্রকাশ পায়, যখন আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। আজকের প্রতিটি হাসিই আমাদের এই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে।
পরিকল্পনা, পার্টনার সংযুক্তি ও সার্বিক পরামর্শ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আয়োজকেরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কামরুন নাহার রিফা আপুর প্রতি। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতার ফলে পুরো আয়োজনটি বৃহৎ পরিসরে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও তিনি এভাবেই মানবিক কর্মযজ্ঞে পাশে থাকবেন। মানবিক মূল্যবোধ ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার এমন আয়োজন সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।