বর্ণাঢ্য আয়োজনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শপথ গ্রহণ ও নবীনবরণ

- প্রকাশঃ ১০:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / 8
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ২০২৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সেশনের নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন নবীন শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। পরে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের অডিটোরিয়ামে নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয় নবাগত শিক্ষার্থীদের।
স্বাগত বক্তব্যে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জ্ঞানের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আপনাদেরও সেই আদর্শে এগিয়ে যেতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি সংগঠনে যুক্ত হয়ে মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে এবং সমাজ-দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে।
নবীন শিক্ষার্থীদের অনুভূতি প্রকাশ করে ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়জুননেছা বলেন, নতুন ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধুদের নিয়ে এক স্বপ্নময় যাত্রা শুরু করেছি। শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, মানবসেবা ও আদর্শবান মানুষ হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করব।
প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও গবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নবীনদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একসঙ্গে চলা ও অজানাকে জানার স্থান। জ্ঞান ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি সামাজিক মালিকানা—যা মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হওয়া উচিত। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় জ্ঞান মুনাফা ও ধ্বংসের কাজে ব্যবহার হচ্ছে, এর বিকল্প হলো মানবিক ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন নবীনদের উদ্দেশে বলেন, এই চার বছর আপনাদের জীবনের পাথেয়। প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে দেশের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। গবির সব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভালোকে বেছে নিতে হবে।
নবীনবরণের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।