বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাজনীতি বন্ধের ক্ষমতা কোনো উপাচার্যের নেই— জাবি উপাচার্য

- প্রকাশঃ ১২:১৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / 0
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলসহ সব রাজনৈতিক দলের ঘোষিত হল কমিটি বাতিল ও আবাসিক হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল ও ২১ নম্বর হল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা “হল কমিটি বাতিল করো”, “আমার হলে রাজনীতি চলবে না”, “হল পলিটিক্স নো মোর” এবং “গেস্টরুম কালচার রুখে দাও” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। পরে উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তারা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি, ১. সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ২. রাজনীতি, গণরুম, গেস্টরুম ও র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ৩. অতি দ্রুত জাকসু তথা হল সংসদ চালু ও ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, ৪. রাজনৈতিক সংগঠনের দেওয়া উপহার হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় রাখা, ৫. হলে অছাত্র বা বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ রোধ, ৬. মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
ইতিহাস বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, হল পলিটিক্সের মাধ্যমে অতীতে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমরা চাই না সেই কালচার আবার ফিরে আসুক। তাই সব রাজনৈতিক দলের হল কমিটি বাতিল চাই।
শিক্ষার্থীদের দাবির জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাজনীতি বন্ধ বা কমিটি বাতিল করার এখতিয়ার আইনত কোনো উপাচার্যের নেই। তবে র্যাগিং, গেস্টরুম বা জোরপূর্বক মিছিলে নেওয়ার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত যে-ই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো লিখিত আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিল, হল প্রভোস্ট ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ছাত্রদল ঘোষিত হল কমিটি বাতিলের বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেননি।