মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ভর্তির সুযোগ পেলেন ৮ নবীন
- প্রকাশঃ ০২:৪৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / 92
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হলো আর্থিক অনটনে থাকা আট নবীন শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মানবিক উদ্যোগে সম্ভব হয়েছে এই সহায়তা।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান এক ছাত্রী। কিন্তু চূড়ান্ত ভর্তি ফি জোগাড় করতে না পেরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘MBSTU Insiders’ গ্রুপে সহায়তার আবেদন জানান। আবেদনটি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী—মেহেদী হাসান রাকিব, সাকিব আল হাসান রাব্বি, তানবীর ইসলাম তামিম, তুষার আহমেদ ও মো. হৃদয় হোসাইন—তার পাশে দাঁড়ান। পরে তারা বুঝতে পারেন, আরও অনেক শিক্ষার্থী একই সমস্যায় ভুগছেন।
তাই তারা ‘MBSTU Admission Helpline’ নামে উদ্যোগ নিয়ে আর্থিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সহায়তায় যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন বিভাগের মোট আটজন নবীন শিক্ষার্থীকে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এগিয়ে আসেন।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, টাকার অভাবে কারও শিক্ষা থেমে যাক, সেটা আমরা মেনে নিতে পারিনি। যত কষ্টই হোক, নবীনদের ভর্তির দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলাম। আজ সেটি সম্ভব হয়েছে—এটি মানবতার জয়।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, “তাদের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকতে পেরেছি, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সবসময় এমন কাজের সঙ্গে থাকতে চাই।”
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, আমরা চাইনি কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে স্বপ্ন হারাক। ভর্তি হওয়া নবীনরা এখন আমাদের ছোট ভাইবোন।
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানবীর ইসলাম তামিম বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষা সবার অধিকার।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হৃদয় হোসাইন বলেন, মানুষ মানুষের জন্য—এই কথাটিই আমরা কাজে প্রমাণ করেছি। ভবিষ্যতেও যেন অর্থাভাবে কেউ স্বপ্ন হারাতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করব।
শিক্ষার্থীদের মতে, এটি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়—এটি একতার প্রতীক, মানবতার জয় এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার এক মহৎ প্রয়াস।




























