বিশ্বকবির জয়ন্তী: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মদিন আজ

- প্রকাশঃ ০৮:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / 41
আজ ২৫শে বৈশাখ—বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম কবি ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে, ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। পরিবারে তিনি ছিলেন চতুর্দশ সন্তান।
রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের এমন এক অবিসংবাদিত নক্ষত্র, যিনি শুধু সাহিত্য রচনায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং সঙ্গীত, চিত্রকলা, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রেও রেখে গেছেন গৌরবোজ্জ্বল অবদান। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে আমাদের অহঙ্কারের অংশ হয়ে আছে। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁকে প্রথম এশীয় নোবেলজয়ী হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তোলে।
রবীন্দ্র রচনাবলীতে বাঙালির প্রেম, বেদনা, জীবনসংগ্রাম ও আত্মপরিচয়ের কথা উঠে এসেছে বারবার। তার কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস ও নাটক বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। আজও তার রচিত ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বাংলার ঘরে ঘরে সুর তোলে প্রেম ও চিন্তার অনুভবে।
তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে তিনি চালু করেন এক নতুন শিক্ষাধারা। যদিও তিনি নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় আগ্রহী ছিলেন না, তার সাহিত্য আজ বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার বিষয়।
রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তিন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশব্যাপী রবীন্দ্রস্মরণে আয়োজন করা হচ্ছে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, সংগীতানুষ্ঠান ও চিত্র প্রদর্শনী।
রবীন্দ্রজয়ন্তী আজ কেবল একটি জন্মদিন নয়, বরং এটি বাঙালি জাতির সংস্কৃতি, আত্মপরিচয় ও গৌরবময় অতীতকে স্মরণ করার দিন। বিশ্বকবির এই জন্মদিনে বাংলা সাহিত্যের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আরও গভীর হয়, অনুপ্রেরণায় ভরে ওঠে মননচর্চা।