ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্যাগ, অনুভব ও ফেরার গল্প: ঈদুল আযহা উদযাপন নিয়ে মেরিটাইমিয়ানদের ভাবনা

  • প্রকাশঃ ০৬:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • / 49

 

পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কোরবানির আদর্শকে কেন্দ্র করে এই ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও সামাজিক সাম্যের প্রতীক। প্রতি বছর এই উৎসব ঘিরে তারুণ্যের মাঝে থাকে আলাদা উদ্দীপনা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝেও তাই ঈদুল আযহা ঘিরে থাকে নানা প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা।

দীর্ঘ একাডেমিক প্রেসারের সময় পেরিয়ে ঈদুল আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা ফিরছে বাড়ির পথে—কেউ বাস বা ট্রেনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, কেউ রিজার্ভ গাড়িতে সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে ঈদে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করেছে। এবারের ঈদ শুধু কোরবানির নয়, বরং একসঙ্গে থাকার, সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার, এবং আত্মত্যাগের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে এগিয়ে চলার এক নতুন শপথ। বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। এবারের ঈদুল আযহা উদযাপন নিয়ে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিমত তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাংবাদিক সমিতির রাইসুল ইসলাম।

“ট্রানজিশনের ঈদ: অতীতের আবেগ, ভবিষ্যতের পথে”

এই বছরের ঈদটা আমার জন্য একটু বেশিই স্পেশাল, কারণ এটি আমার স্নাতক জীবনের শেষ ঈদ। একটা অধ্যায় শেষের পথে, সামনে নতুন যাত্রা অপেক্ষা করছে। বর্তমানে আমি ভার্সিটির শেষ দিক এবং অফিসের শুরু এই দুইয়ের মধ্যে ট্রানজিশনাল সময় পার করছি। জীবনের এই ধাপে পা রাখার অনুভূতি একদিকে আনন্দদায়ক, অন্যদিকে কিছুটা আবেগময়।

এই ঈদে প্রথমবারের মতো বাড়ির জন্য নিজের থেকে বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করেছি। আর কোরবানির ঈদ মানেই তো খাওয়া-দাওয়া! ঢাকায় মেসের একঘেয়ে খাবারের পর বাড়িতে মায়ের হাতের রান্না যেন শান্তির স্বাদ নিয়ে আসে। বাড়ির পানির স্বাদটাই আলাদা—মেসের পানি আর খাবারের খটখটে ভাব এক ক্লিকে ভুলিয়ে দেয়। তবে এবারের ঈদের ছুটির পরে সবচেয়ে বেশি মিস করবো ভার্সিটির সবাইকে দেখা। এবার আর ছুটি শেষে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই একসঙ্গে মিলিত হবে না—ছুটি শেষেই শুরু হবে প্রতিদিনের অফিস আর শনিবারের ক্লাস।

তৌফিকুল ইসলাম আশিক – পোর্ট এন্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ৩য় ব্যাচ

“ঈদুল আযহা: শান্তি ও সহমর্মিতার একতা”

আসসালামু আলাইকুম। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। এই দিনটি ত্যাগ, ধৈর্য ও আত্মনিয়োগের মহান শিক্ষা বহন করে নিয়ে আসে, যা আমাদের অন্তরকে শুদ্ধ করে এবং সমাজে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়। ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা হলো—নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা। আসুন, আমরা এই মহান উপলক্ষে বিভেদ ভুলে একে অপরের পাশে দাঁড়াই, শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতার বন্ধন গড়ে তুলি। আল্লাহ্‌ আমাদের কোরবানি কবুল করুন, আমাদের হৃদয় উদার করুন এবং আমাদের জীবন ন্যায়, সত্য ও সৎপথে পরিচালিত করুন। সকলের জন্য রইলো আনন্দময়, নিরাপদ ও হৃদয়স্পর্শী ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক!

তাজ মাহমুদ – মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার বিভাগ ,১ম ব্যাচ

“ফ্লেক্সের জন্যে ঈদ নয়, ত্যাগের জন্য কোরবানি”

অনার্স লাইফের শেষ ঈদের দ্বারপ্রান্তে আছি। প্রতিবারের মতো এবারও ত্যাগ ও আত্মসংযমের বার্তা নিয়ে চলে এসেছে কোরবানির ঈদ। আগে কোরবানির ঈদ মানেই ছিল ত্যাগের শিক্ষা, কিন্তু এখন চারপাশে তাকালে মনে হয় ঈদের নামটাই যেন বদলে গেছে। এখন এটা যেন “ফ্লেক্সের ঈদ”—কার পশু কত বড়, দাম কত, এসব নিয়ে চলছে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কোরবানির পশুর দাম বলে অন্যকে লজ্জা দেওয়াই যেন হয়ে গেছে ঈদের মূল আকর্ষণ। আর যারা সামর্থ্যের অভাবে কোরবানি দিতে পারে না, তারা যেন সমাজের বাইরের কেউ।

কোরবানির আসল শিক্ষা পশু নয়, অন্তরের অহং ত্যাগ। সেই ত্যাগ যেন কাউকে ছোট না করে, ঈদ যেন কারও সামর্থ্যের অভাবকে লজ্জার জায়গা না বানায়। কোরবানি না দেওয়াও হতে পারে এক ধরনের ত্যাগ—চাওয়া-পাওয়ার লড়াইয়ে নিজেকে ধরে রাখার সাহস। কোরবানির এই সত্যিকারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাবো এক সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায়।

তালহা বিন হাবিব – ওশানোগ্রাফি এন্ড হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ, ৫ম ব্যাচ

“স্মৃতির ঈদ থেকে সাম্যের ঈদ: ঈদুল আজহার শিক্ষা”

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। এটি শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ, অনুভূতি, আত্মত্যাগ ও আল্লাহর হুকুম-আহকাম। ছোটবেলায় ঈদ এলে অজান্তেই মনে এক রকম আনন্দ কাজ করত। ঈদের আগে গরু কিনতে যাওয়া, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নানা পরিকল্পনা, আর ঈদের দিন কোরবানির দৃশ্য দেখে ভয় পাওয়া—এসবের মাঝেই ছিল আলাদা এক ভালো লাগা।

তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেসব এখন কেবল স্মৃতি হয়ে গেছে। ঈদ এলেও আর আগের মতো ফিরে যাওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে সেই আনন্দের কিছুটা ছোঁয়া মেলে বাড়ি ফিরে, যখন সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করা হয়। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার যে তৃপ্তি, তা অন্য কিছুতে পাওয়া কঠিন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই মিলে ঈদ পালন যেমন ধর্মীয় সহনশীলতা বাড়ায়, তেমনি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথও সহজ করে। আধুনিক এই বিশ্বে সবাই যেন আনন্দ ভাগ করে বাঁচতে পারে—এই হোক আমাদের প্রার্থনা।

মোঃ রাহাদ আলী সরকার – ওশানোগ্রাফি এন্ড হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ,৬ষ্ঠ ব্যাচ

প্রতিবেদক: রাইসুল ইসলাম

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

ত্যাগ, অনুভব ও ফেরার গল্প: ঈদুল আযহা উদযাপন নিয়ে মেরিটাইমিয়ানদের ভাবনা

প্রকাশঃ ০৬:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

 

পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কোরবানির আদর্শকে কেন্দ্র করে এই ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও সামাজিক সাম্যের প্রতীক। প্রতি বছর এই উৎসব ঘিরে তারুণ্যের মাঝে থাকে আলাদা উদ্দীপনা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝেও তাই ঈদুল আযহা ঘিরে থাকে নানা প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা।

দীর্ঘ একাডেমিক প্রেসারের সময় পেরিয়ে ঈদুল আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা ফিরছে বাড়ির পথে—কেউ বাস বা ট্রেনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, কেউ রিজার্ভ গাড়িতে সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে ঈদে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করেছে। এবারের ঈদ শুধু কোরবানির নয়, বরং একসঙ্গে থাকার, সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার, এবং আত্মত্যাগের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে এগিয়ে চলার এক নতুন শপথ। বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। এবারের ঈদুল আযহা উদযাপন নিয়ে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিমত তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাংবাদিক সমিতির রাইসুল ইসলাম।

“ট্রানজিশনের ঈদ: অতীতের আবেগ, ভবিষ্যতের পথে”

এই বছরের ঈদটা আমার জন্য একটু বেশিই স্পেশাল, কারণ এটি আমার স্নাতক জীবনের শেষ ঈদ। একটা অধ্যায় শেষের পথে, সামনে নতুন যাত্রা অপেক্ষা করছে। বর্তমানে আমি ভার্সিটির শেষ দিক এবং অফিসের শুরু এই দুইয়ের মধ্যে ট্রানজিশনাল সময় পার করছি। জীবনের এই ধাপে পা রাখার অনুভূতি একদিকে আনন্দদায়ক, অন্যদিকে কিছুটা আবেগময়।

এই ঈদে প্রথমবারের মতো বাড়ির জন্য নিজের থেকে বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করেছি। আর কোরবানির ঈদ মানেই তো খাওয়া-দাওয়া! ঢাকায় মেসের একঘেয়ে খাবারের পর বাড়িতে মায়ের হাতের রান্না যেন শান্তির স্বাদ নিয়ে আসে। বাড়ির পানির স্বাদটাই আলাদা—মেসের পানি আর খাবারের খটখটে ভাব এক ক্লিকে ভুলিয়ে দেয়। তবে এবারের ঈদের ছুটির পরে সবচেয়ে বেশি মিস করবো ভার্সিটির সবাইকে দেখা। এবার আর ছুটি শেষে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই একসঙ্গে মিলিত হবে না—ছুটি শেষেই শুরু হবে প্রতিদিনের অফিস আর শনিবারের ক্লাস।

তৌফিকুল ইসলাম আশিক – পোর্ট এন্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ৩য় ব্যাচ

“ঈদুল আযহা: শান্তি ও সহমর্মিতার একতা”

আসসালামু আলাইকুম। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। এই দিনটি ত্যাগ, ধৈর্য ও আত্মনিয়োগের মহান শিক্ষা বহন করে নিয়ে আসে, যা আমাদের অন্তরকে শুদ্ধ করে এবং সমাজে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়। ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা হলো—নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা। আসুন, আমরা এই মহান উপলক্ষে বিভেদ ভুলে একে অপরের পাশে দাঁড়াই, শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতার বন্ধন গড়ে তুলি। আল্লাহ্‌ আমাদের কোরবানি কবুল করুন, আমাদের হৃদয় উদার করুন এবং আমাদের জীবন ন্যায়, সত্য ও সৎপথে পরিচালিত করুন। সকলের জন্য রইলো আনন্দময়, নিরাপদ ও হৃদয়স্পর্শী ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক!

তাজ মাহমুদ – মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার বিভাগ ,১ম ব্যাচ

“ফ্লেক্সের জন্যে ঈদ নয়, ত্যাগের জন্য কোরবানি”

অনার্স লাইফের শেষ ঈদের দ্বারপ্রান্তে আছি। প্রতিবারের মতো এবারও ত্যাগ ও আত্মসংযমের বার্তা নিয়ে চলে এসেছে কোরবানির ঈদ। আগে কোরবানির ঈদ মানেই ছিল ত্যাগের শিক্ষা, কিন্তু এখন চারপাশে তাকালে মনে হয় ঈদের নামটাই যেন বদলে গেছে। এখন এটা যেন “ফ্লেক্সের ঈদ”—কার পশু কত বড়, দাম কত, এসব নিয়ে চলছে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কোরবানির পশুর দাম বলে অন্যকে লজ্জা দেওয়াই যেন হয়ে গেছে ঈদের মূল আকর্ষণ। আর যারা সামর্থ্যের অভাবে কোরবানি দিতে পারে না, তারা যেন সমাজের বাইরের কেউ।

কোরবানির আসল শিক্ষা পশু নয়, অন্তরের অহং ত্যাগ। সেই ত্যাগ যেন কাউকে ছোট না করে, ঈদ যেন কারও সামর্থ্যের অভাবকে লজ্জার জায়গা না বানায়। কোরবানি না দেওয়াও হতে পারে এক ধরনের ত্যাগ—চাওয়া-পাওয়ার লড়াইয়ে নিজেকে ধরে রাখার সাহস। কোরবানির এই সত্যিকারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাবো এক সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায়।

তালহা বিন হাবিব – ওশানোগ্রাফি এন্ড হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ, ৫ম ব্যাচ

“স্মৃতির ঈদ থেকে সাম্যের ঈদ: ঈদুল আজহার শিক্ষা”

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। এটি শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ, অনুভূতি, আত্মত্যাগ ও আল্লাহর হুকুম-আহকাম। ছোটবেলায় ঈদ এলে অজান্তেই মনে এক রকম আনন্দ কাজ করত। ঈদের আগে গরু কিনতে যাওয়া, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নানা পরিকল্পনা, আর ঈদের দিন কোরবানির দৃশ্য দেখে ভয় পাওয়া—এসবের মাঝেই ছিল আলাদা এক ভালো লাগা।

তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেসব এখন কেবল স্মৃতি হয়ে গেছে। ঈদ এলেও আর আগের মতো ফিরে যাওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে সেই আনন্দের কিছুটা ছোঁয়া মেলে বাড়ি ফিরে, যখন সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করা হয়। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার যে তৃপ্তি, তা অন্য কিছুতে পাওয়া কঠিন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই মিলে ঈদ পালন যেমন ধর্মীয় সহনশীলতা বাড়ায়, তেমনি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথও সহজ করে। আধুনিক এই বিশ্বে সবাই যেন আনন্দ ভাগ করে বাঁচতে পারে—এই হোক আমাদের প্রার্থনা।

মোঃ রাহাদ আলী সরকার – ওশানোগ্রাফি এন্ড হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ,৬ষ্ঠ ব্যাচ

প্রতিবেদক: রাইসুল ইসলাম

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা