ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিশোধের অনুমোদন দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশঃ ১০:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 11

 

ইসলামাবাদ, ৭ মে ২০২৫- একের পর এক প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। আজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দেশের সেনাবাহিনীকে ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিশোধ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।

আজকের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে পাকিস্তানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হন। এই হামলার জবাব দিতেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই প্রতিশোধের সিদ্ধান্ত এসেছে।


ছবি: সংগৃহীত


ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, তারা ওই হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে। তবে পাকিস্তান এই হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শরীফের প্রতিক্রিয়াকে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছে অনেক বিশ্লেষক।

কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এবং ১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘাতসহ অতীতেও বহুবার রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পূর্বের যেকোনো উত্তেজনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।

২০১৯ সালের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ঘটনার মতো অতীতের সামরিক সংঘর্ষগুলো ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অস্থিরতার প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শরীফের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানে প্রকৃত ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতেই থাকে, যা দেশের ইতিহাসে বহুবার প্রমাণিত।

বর্তমানে যখন দুই দেশই নতুন করে সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে—কারণ, দুই পারমাণবিক শক্তির মুখোমুখি অবস্থান যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা বিশ্বের কাছে অজানা নয়।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিশোধের অনুমোদন দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশঃ ১০:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ইসলামাবাদ, ৭ মে ২০২৫- একের পর এক প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। আজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দেশের সেনাবাহিনীকে ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিশোধ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।

আজকের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে পাকিস্তানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হন। এই হামলার জবাব দিতেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই প্রতিশোধের সিদ্ধান্ত এসেছে।


ছবি: সংগৃহীত


ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, তারা ওই হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে। তবে পাকিস্তান এই হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শরীফের প্রতিক্রিয়াকে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছে অনেক বিশ্লেষক।

কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এবং ১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘাতসহ অতীতেও বহুবার রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পূর্বের যেকোনো উত্তেজনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।

২০১৯ সালের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ঘটনার মতো অতীতের সামরিক সংঘর্ষগুলো ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অস্থিরতার প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শরীফের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানে প্রকৃত ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতেই থাকে, যা দেশের ইতিহাসে বহুবার প্রমাণিত।

বর্তমানে যখন দুই দেশই নতুন করে সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে—কারণ, দুই পারমাণবিক শক্তির মুখোমুখি অবস্থান যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা বিশ্বের কাছে অজানা নয়।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”