ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় JF-17 থান্ডারের সাফল্যে চীনা প্রতিরক্ষা শিল্প

  • প্রকাশঃ ১০:৫২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 7

CAC–এর শেয়ারে একদিনে ১১.৮৫% লাফ, যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীনের প্রতিরক্ষা খাতের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (CAC)এর শেয়ারমূল্যে নজিরবিহীন উত্থান দেখা গেছে। মঙ্গলবার শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার (টিকার: 302132.SZ) এক লাফে বেড়ে ১১.৮৫% বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ৭১.০৮ চায়নিজ ইউয়ানে পৌঁছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অভিযানে CAC–এর নির্মিত JF-17 Thunder যুদ্ধবিমানের সাফল্যই এই মূল্যবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জবাবে তারা চালানো পাল্টা অভিযানে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে JF-17 যুদ্ধবিমান মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

সংঘাতের সূচনা ঘটে কাশ্মীরের পাহেলগাঁও এলাকায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর, যাতে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে সীমান্তের ওপারে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’তে বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান সামরিক প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা একটি JF-17 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, যদিও পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।

চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন পাকিস্তান-চীন যৌথভাবে তৈরি করা JF-17 Thunder যুদ্ধবিমানের মূল নির্মাতা। এই বিমান গত এক দশকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এতে রয়েছে আধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম, বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ মিসাইল এবং মাল্টি-রোল ফাইটিং সক্ষমতা।

এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে চীনের প্রযুক্তিগত অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের। CAC–এর এই সাফল্য চীনা প্রতিরক্ষা রপ্তানির সম্ভাবনা বিনিয়োগের সম্ভাব্যতাকে আরও দৃঢ়ভাবে সামনে আনছে।

দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ২০১৯ সালের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক কারগিল যুদ্ধের স্মৃতি আবারও সামনে এনেছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি যদি আরও তীব্রতর হয়, তবে তা শুধুমাত্র উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় JF-17 থান্ডারের সাফল্যে চীনা প্রতিরক্ষা শিল্প

প্রকাশঃ ১০:৫২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

CAC–এর শেয়ারে একদিনে ১১.৮৫% লাফ, যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীনের প্রতিরক্ষা খাতের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (CAC)এর শেয়ারমূল্যে নজিরবিহীন উত্থান দেখা গেছে। মঙ্গলবার শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার (টিকার: 302132.SZ) এক লাফে বেড়ে ১১.৮৫% বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ৭১.০৮ চায়নিজ ইউয়ানে পৌঁছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অভিযানে CAC–এর নির্মিত JF-17 Thunder যুদ্ধবিমানের সাফল্যই এই মূল্যবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জবাবে তারা চালানো পাল্টা অভিযানে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে JF-17 যুদ্ধবিমান মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

সংঘাতের সূচনা ঘটে কাশ্মীরের পাহেলগাঁও এলাকায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর, যাতে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে সীমান্তের ওপারে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’তে বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান সামরিক প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা একটি JF-17 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, যদিও পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।

চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন পাকিস্তান-চীন যৌথভাবে তৈরি করা JF-17 Thunder যুদ্ধবিমানের মূল নির্মাতা। এই বিমান গত এক দশকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এতে রয়েছে আধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম, বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ মিসাইল এবং মাল্টি-রোল ফাইটিং সক্ষমতা।

এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে চীনের প্রযুক্তিগত অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের। CAC–এর এই সাফল্য চীনা প্রতিরক্ষা রপ্তানির সম্ভাবনা বিনিয়োগের সম্ভাব্যতাকে আরও দৃঢ়ভাবে সামনে আনছে।

দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ২০১৯ সালের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক কারগিল যুদ্ধের স্মৃতি আবারও সামনে এনেছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি যদি আরও তীব্রতর হয়, তবে তা শুধুমাত্র উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”