ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার অনিবার্য বিপর্যয়

  • প্রকাশঃ ০৯:১৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 60

 

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চিরকালই উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের এই বৈরি সম্পর্ক ক্রমশই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই উত্তেজনা এখন রূপ নিয়েছে সরাসরি সামরিক সংঘাতে। গত মঙ্গলবার (৬ মে, ২০২৫) মধ্যরাতের পর ভারত পাকিস্তানের ছয়টি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। দুপক্ষেই প্রাণহানি ঘটেছে, বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে আবারও যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে যা বিশেষজ্ঞদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

একটা কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন। এই যুদ্ধ কিন্তু হঠাৎ করে শুরু হয়নি। দশকের পর দশক ধরে জমে থাকা অবিশ্বাস, রাজনৈতিক উত্তেজনা, সীমান্ত বিরোধ এবং কাশ্মীর ইস্যু- এসবই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনে ঘি ঢেলেছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ- প্রতিটি ছিল একেকটি রক্তাক্ত অধ্যায়। সেই ঘটনাগুলোর জের ধরে দুই দেশের সম্পর্কে চূড়ান্ত ফাটল ধরে।

যদিও ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর এবং ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ’ থেকে বরাবরই দূরে থেকেছে, তবুও সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে সেই ভারসাম্য ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত সংঘর্ষ আর কৌশলগত উত্তেজনা প্রায়ই নির্বাচনী কৌশল ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত হয়েছে।

এছাড়া পাকিস্তানেও যুদ্ধাবস্থার প্রস্তুতি ও যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে তোলা হয়েছে বহুবার, বিশেষত। ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ঠেকাতে কিংবা তালেবান বা বেলুচিস্তান বিদ্রোহ সামাল দিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা পুরনো রীতি রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও সেই পথেই হাঁটছেন বলে অনুমান করা যায়। তবে যুদ্ধ শুধু একটি কৌশলগত প্রদর্শনী নয়।

লেখক: ইমতিয়াজ উদ্দিন

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার অনিবার্য বিপর্যয়

প্রকাশঃ ০৯:১৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চিরকালই উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের এই বৈরি সম্পর্ক ক্রমশই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই উত্তেজনা এখন রূপ নিয়েছে সরাসরি সামরিক সংঘাতে। গত মঙ্গলবার (৬ মে, ২০২৫) মধ্যরাতের পর ভারত পাকিস্তানের ছয়টি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। দুপক্ষেই প্রাণহানি ঘটেছে, বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে আবারও যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে যা বিশেষজ্ঞদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

একটা কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন। এই যুদ্ধ কিন্তু হঠাৎ করে শুরু হয়নি। দশকের পর দশক ধরে জমে থাকা অবিশ্বাস, রাজনৈতিক উত্তেজনা, সীমান্ত বিরোধ এবং কাশ্মীর ইস্যু- এসবই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনে ঘি ঢেলেছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ- প্রতিটি ছিল একেকটি রক্তাক্ত অধ্যায়। সেই ঘটনাগুলোর জের ধরে দুই দেশের সম্পর্কে চূড়ান্ত ফাটল ধরে।

যদিও ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর এবং ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ’ থেকে বরাবরই দূরে থেকেছে, তবুও সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে সেই ভারসাম্য ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত সংঘর্ষ আর কৌশলগত উত্তেজনা প্রায়ই নির্বাচনী কৌশল ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত হয়েছে।

এছাড়া পাকিস্তানেও যুদ্ধাবস্থার প্রস্তুতি ও যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে তোলা হয়েছে বহুবার, বিশেষত। ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ঠেকাতে কিংবা তালেবান বা বেলুচিস্তান বিদ্রোহ সামাল দিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা পুরনো রীতি রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও সেই পথেই হাঁটছেন বলে অনুমান করা যায়। তবে যুদ্ধ শুধু একটি কৌশলগত প্রদর্শনী নয়।

লেখক: ইমতিয়াজ উদ্দিন

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা”