পাকিস্তানি জে-১০সি যুদ্ধবিমান দ্বারা ভারতীয় দুই সামরিক বিমান ভূপাতিত: নিশ্চিত করল মার্কিন কর্তৃপক্ষ

- প্রকাশঃ ০৫:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / 33
দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। মার্কিন গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের একটি চীনা-নির্মিত জেংদু J-10C যুদ্ধবিমান ভারতীয় দুইটি সামরিক বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ঘটনাটি ঘটে ৮ মে সকালে ভারতের পরিচালিত “অপারেশন সিন্দুর”–এর প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কথিত জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ হামলার পরপরই পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান সক্রিয় হয়ে আকাশে তীব্র লড়াই শুরু করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের J-10C যুদ্ধবিমানটি PL-15E দূর-পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় দুইটি জেট বিমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার কোনো সংঘর্ষে চীনা J-10C যুদ্ধবিমান এমন কার্যকর ভূমিকায় অংশ নিলো, যা অঞ্চলটিতে চীনা সামরিক প্রযুক্তির সরাসরি প্রভাবকেই নির্দেশ করে।
যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান হারানোর স্বীকারোক্তি এখনো আসেনি, তবুও তারা বলেছে যে, অভিযানে “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।” অপরদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা সফলভাবে ভারতের আক্রমণের জবাব দিয়েছে এবং সীমান্তে “পূর্ণ প্রস্তুতিতে রয়েছে।”
ঘটনাটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে সম্ভাব্য পরিবর্তনের সূচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ থেকেও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কথা বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘর্ষে চীনা PL-15E ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর কেড়েছে, যেটি ২০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি J-10C এর সক্ষমতা এবং দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বর্তমানে দুই দেশের সীমান্তে সেনা ও বিমান মোতায়েন বাড়ছে। বৈশ্বিক পর্যবেক্ষকরা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন যাতে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের উত্তেজনা আরও বিস্তৃত আকার না ধারণ করে।