ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম: নতুন বাজারে রপ্তানির পথে বড় পদক্ষেপ

  • প্রকাশঃ ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 49

 

বাংলাদেশ, প্রতিবছর এক মিলিয়নেরও বেশি মেট্রিক টন আম উৎপাদনকারী অন্যতম দেশ, এবার চীনে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে। এই রপ্তানি দেশের কৃষি খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিলো, যেখানে এতদিন প্রধানত যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইতালির মতো দেশে আম রপ্তানি করা হতো।

চীনের এই বাজারে প্রবেশ কোনো সহজ বিষয় নয়। রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত বাগান ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র থাকতে হবে, যেগুলো চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ কাস্টমস (GACC) দ্বারা অনুমোদিত। পাশাপাশি, আমে রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধে বাধ্যতামূলকভাবে গরম পানির বা বাষ্প প্রক্রিয়াকরণ (hot water/steam treatment) করতে হবে।

চীনের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলেই জানানো হয়েছিল যে তারা বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল ও আলু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশের কৃষি খাতের জন্য এটি হবে এক নতুন দিগন্ত, বিশেষ করে বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নে।

তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও রপ্তানির পরিকাঠামো ও মান নিয়ন্ত্রণে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। তবুও, এই পদক্ষেপ দেশের কৃষি অর্থনীতিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, বিশেষত যখন বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈশ্বিক বাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে।

চীনে রপ্তানির এ পথ সুগম হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ফল রপ্তানিতে আরও বড় সাফল্য দেখা যেতে পারে, যা কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

চীনে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম: নতুন বাজারে রপ্তানির পথে বড় পদক্ষেপ

প্রকাশঃ ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ, প্রতিবছর এক মিলিয়নেরও বেশি মেট্রিক টন আম উৎপাদনকারী অন্যতম দেশ, এবার চীনে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে। এই রপ্তানি দেশের কৃষি খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিলো, যেখানে এতদিন প্রধানত যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইতালির মতো দেশে আম রপ্তানি করা হতো।

চীনের এই বাজারে প্রবেশ কোনো সহজ বিষয় নয়। রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত বাগান ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র থাকতে হবে, যেগুলো চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ কাস্টমস (GACC) দ্বারা অনুমোদিত। পাশাপাশি, আমে রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধে বাধ্যতামূলকভাবে গরম পানির বা বাষ্প প্রক্রিয়াকরণ (hot water/steam treatment) করতে হবে।

চীনের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলেই জানানো হয়েছিল যে তারা বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল ও আলু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশের কৃষি খাতের জন্য এটি হবে এক নতুন দিগন্ত, বিশেষ করে বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নে।

তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও রপ্তানির পরিকাঠামো ও মান নিয়ন্ত্রণে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। তবুও, এই পদক্ষেপ দেশের কৃষি অর্থনীতিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, বিশেষত যখন বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈশ্বিক বাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে।

চীনে রপ্তানির এ পথ সুগম হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ফল রপ্তানিতে আরও বড় সাফল্য দেখা যেতে পারে, যা কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা