ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে ঋণ চুক্তির পথে ড. ইউনূস: বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ

  • প্রকাশঃ ০৯:৪৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / 48

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। কিছুদিন আগেও তার পদত্যাগের গুঞ্জনে সরগরম ছিল রাজনৈতিক অঙ্গন। অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি শিগগিরই দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ড. ইউনূস দায়িত্বে বহাল থেকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন।

সম্প্রতি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূস এমন কিছু দেশের সঙ্গে ঋণ ও বিনিয়োগ চুক্তিতে এগোচ্ছেন—যাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনের কৌশলগত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি রাজনৈতিক সংস্কার, অবাধ নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার দূরত্ব এবং অর্থনৈতিক সংকট তার অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে।

গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে তার উপদেষ্টারা স্পষ্টভাবে জানান, ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না এবং দায়িত্বে থেকেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। এই ঘোষণার পরপরই তার সরকার চীনের সঙ্গে ২.১ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ ও বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন করে। একই সময়ে ভারত, জাপানসহ চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী কিছু দেশের সঙ্গেও অর্থনৈতিক সহযোগিতার আলোচনা শুরু করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বিমুখী কূটনৈতিক কৌশল একদিকে আন্তর্জাতিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াস হতে পারে, আবার অন্যদিকে পরস্পরবিরোধী শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেশের ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তবে সমর্থকদের দাবি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জরুরি পদক্ষেপ। ড. ইউনূস একদিকে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টায়, অন্যদিকে বৈদেশিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চান।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই উদ্যোগগুলোর পেছনে সুপরিকল্পিত কৌশল না থাকলে তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদক: ওমর ফারুক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা

শেয়ার করুন

চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে ঋণ চুক্তির পথে ড. ইউনূস: বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ

প্রকাশঃ ০৯:৪৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। কিছুদিন আগেও তার পদত্যাগের গুঞ্জনে সরগরম ছিল রাজনৈতিক অঙ্গন। অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি শিগগিরই দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ড. ইউনূস দায়িত্বে বহাল থেকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন।

সম্প্রতি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূস এমন কিছু দেশের সঙ্গে ঋণ ও বিনিয়োগ চুক্তিতে এগোচ্ছেন—যাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনের কৌশলগত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি রাজনৈতিক সংস্কার, অবাধ নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার দূরত্ব এবং অর্থনৈতিক সংকট তার অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে।

গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে তার উপদেষ্টারা স্পষ্টভাবে জানান, ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না এবং দায়িত্বে থেকেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। এই ঘোষণার পরপরই তার সরকার চীনের সঙ্গে ২.১ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ ও বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন করে। একই সময়ে ভারত, জাপানসহ চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী কিছু দেশের সঙ্গেও অর্থনৈতিক সহযোগিতার আলোচনা শুরু করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বিমুখী কূটনৈতিক কৌশল একদিকে আন্তর্জাতিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াস হতে পারে, আবার অন্যদিকে পরস্পরবিরোধী শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেশের ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তবে সমর্থকদের দাবি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জরুরি পদক্ষেপ। ড. ইউনূস একদিকে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টায়, অন্যদিকে বৈদেশিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চান।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই উদ্যোগগুলোর পেছনে সুপরিকল্পিত কৌশল না থাকলে তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদক: ওমর ফারুক

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা