ইরানের পাশে থাকার অঙ্গীকার চীনের

- প্রকাশঃ ০৮:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / 32
চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে এশিয়ার আরেক পরাশক্তি চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি পৃথক ফোনালাপে ইরান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আলাপে ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে আলাপের সময় ওয়াং ই বলেন, চীন সবসময় ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার পক্ষে রয়েছে। তাই ইসরায়েলের এই ধরনের হামলাকে অত্যন্ত ‘নির্মম’ ও ‘উসকানিমূলক’ বলে বিবেচনা করছে বেইজিং।
তিনি আরও বলেন, ইরানি রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে চালানো হামলা মানবতার ইতিহাসে এক বিপজ্জনক নজির তৈরি করেছে।
তিনি যোগ করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এমতাবস্থায় চীন চায়, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হোক।
অন্য দিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার-এর সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং ই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ বর্তমান আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেখানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে, সেখানে সামরিক আক্রমণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেন, বলপ্রয়োগ কোনো টেকসই শান্তি আনতে পারে না এবং সংকট নিরসনে রাজনৈতিক পথই একমাত্র কার্যকর উপায়।
গত ১৩ জুন দিবাগত মধ্যরাতে ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনীপ্রধান এবং শীর্ষ কমান্ডারদের অবস্থান লক্ষ্য করে বড় হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত হন।
পরদিন ইসরায়েল তেল আবিব শহরের কিছু লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র চালায় ইরান। এতে তৎক্ষণাৎ তিনজন নিহত হন। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএপ) মতে দুদিনের হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। দুপক্ষের মধ্যে এখনও হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত থাকলেও বিশ্বনেতারা উভয় পক্ষকেই শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
প্রতিবেদক: রুশাইদ আহমেদ