ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাবি

পাকিস্তান তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করার সক্ষম নিউক্লিয়ার মিসাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ১২:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / 4

শাহীন’ কর্মসূচিতে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য অগ্রগতি, বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছবি:  প্রজন্ম কথা 


পাকিস্তান তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) – এমনটি দাবি করা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বহুল আলোচিত “শাহীন” ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এখন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, যেখানে পরিসীমা ৫,৫০০ কিলোমিটারের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর মানে, এই মিসাইল এখন কেবল আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুকেও আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

গতকাল, ২৬ জুন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে নতুন ধরনের শাহীন মিসাইল প্রদর্শিত হয়, যা এই উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এর আগে, পাকিস্তানের শাহীন মিসাইল সিরিজ মূলত ভারতের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক নিরোধক (ডিটারেন্স) হিসেবেই ব্যবহৃত হতো। শাহীন-২ ও শাহীন-৩ মডেলগুলোর পরিসীমা যথাক্রমে ১,৫০০ থেকে ২,৭৫০ কিলোমিটার ছিল। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান এখন এমন এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের (ICBM) গুণাবলি অর্জন করছে।


আরও পড়ুন

ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত


গত ২১ ও ২২ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ চালায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা পাকিস্তানসহ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিকে নিজেদের পরমাণু শক্তি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে উৎসাহিত করেছে।

২০২৫ সালের ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক মতামত কলামে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি অন্যান্য জাতিকে নিউক্লিয়ার অস্ত্রের উপর নির্ভরতা বাড়াতে বাধ্য করছে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানের মিসাইল প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, কার্যত এগুলোর কোনো বাস্তব প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

২০২৪ সালের আল জাজিরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, নিষেধাজ্ঞার পরও পাকিস্তানের মিসাইল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এতে করে নিউক্লিয়ার অস্ত্র ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়া রোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

পাকিস্তানের এই সামরিক উন্নয়ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভাব্য অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও উত্তেজনার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীনকে ঘিরে।

জাতিসংঘ, ন্যাটো ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি, তবে পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাবি

পাকিস্তান তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করার সক্ষম নিউক্লিয়ার মিসাইল

প্রকাশঃ ১২:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

শাহীন’ কর্মসূচিতে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য অগ্রগতি, বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছবি:  প্রজন্ম কথা 


পাকিস্তান তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) – এমনটি দাবি করা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বহুল আলোচিত “শাহীন” ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এখন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, যেখানে পরিসীমা ৫,৫০০ কিলোমিটারের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর মানে, এই মিসাইল এখন কেবল আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুকেও আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

গতকাল, ২৬ জুন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে নতুন ধরনের শাহীন মিসাইল প্রদর্শিত হয়, যা এই উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এর আগে, পাকিস্তানের শাহীন মিসাইল সিরিজ মূলত ভারতের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক নিরোধক (ডিটারেন্স) হিসেবেই ব্যবহৃত হতো। শাহীন-২ ও শাহীন-৩ মডেলগুলোর পরিসীমা যথাক্রমে ১,৫০০ থেকে ২,৭৫০ কিলোমিটার ছিল। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান এখন এমন এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের (ICBM) গুণাবলি অর্জন করছে।


আরও পড়ুন

ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত


গত ২১ ও ২২ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ চালায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা পাকিস্তানসহ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিকে নিজেদের পরমাণু শক্তি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে উৎসাহিত করেছে।

২০২৫ সালের ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক মতামত কলামে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি অন্যান্য জাতিকে নিউক্লিয়ার অস্ত্রের উপর নির্ভরতা বাড়াতে বাধ্য করছে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানের মিসাইল প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, কার্যত এগুলোর কোনো বাস্তব প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

২০২৪ সালের আল জাজিরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, নিষেধাজ্ঞার পরও পাকিস্তানের মিসাইল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এতে করে নিউক্লিয়ার অস্ত্র ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়া রোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

পাকিস্তানের এই সামরিক উন্নয়ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভাব্য অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও উত্তেজনার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীনকে ঘিরে।

জাতিসংঘ, ন্যাটো ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি, তবে পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”