ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন: বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস

প্রজন্ম কথা ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ০৭:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 6

বুধবার ফ্রান্সের শহর মোঁপেলিয়েতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ | ছবি: এএফপি


ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বুধবার স্থানীয় সময় রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে ‘ব্লোকঁ তু’ (সবকিছু অচল) কর্মসূচিতে অংশ নেন হাজারো তরুণ। বিক্ষোভ চলাকালে বহু এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

ফরাসি গণমাধ্যম লো মঁদ জানিয়েছে, বিক্ষোভ শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুলিশ অন্তত ২০০ জনকে আটক করে। তবে রয়টার্স বলছে, আটক ব্যক্তির সংখ্যা ৩০০-এরও বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ৮০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে।

বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ব্যয় সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। এর আগে সোমবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া বায়রু। মঙ্গলবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাখোঁ তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্টিয়ান লোকনুকে নিয়োগ দেন। লোকনুর দায়িত্ব নেওয়ার দিনই রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মাখোঁ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন না করে কিংবা কোনো বামপন্থী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী না বানিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠজনকে নিয়োগ দিয়েছেন, যা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য হতাশাজনক।

বিক্ষোভ চলাকালে প্যারিস ও আশপাশের সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেনে শহরে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়, আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেললাইনের বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেন, “অনলাইনে সংগঠিত হয়ে সরকারবিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। কিছু বামপন্থী রাজনীতিকও এ আন্দোলনকে উসকে দিচ্ছেন।” তাঁর দাবি, মূলত মাখোঁ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরি করতেই এ আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

ফ্রান্সজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন: বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস

প্রকাশঃ ০৭:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বুধবার ফ্রান্সের শহর মোঁপেলিয়েতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ | ছবি: এএফপি


ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বুধবার স্থানীয় সময় রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে ‘ব্লোকঁ তু’ (সবকিছু অচল) কর্মসূচিতে অংশ নেন হাজারো তরুণ। বিক্ষোভ চলাকালে বহু এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

ফরাসি গণমাধ্যম লো মঁদ জানিয়েছে, বিক্ষোভ শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুলিশ অন্তত ২০০ জনকে আটক করে। তবে রয়টার্স বলছে, আটক ব্যক্তির সংখ্যা ৩০০-এরও বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ৮০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে।

বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ব্যয় সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। এর আগে সোমবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া বায়রু। মঙ্গলবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাখোঁ তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্টিয়ান লোকনুকে নিয়োগ দেন। লোকনুর দায়িত্ব নেওয়ার দিনই রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মাখোঁ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন না করে কিংবা কোনো বামপন্থী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী না বানিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠজনকে নিয়োগ দিয়েছেন, যা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য হতাশাজনক।

বিক্ষোভ চলাকালে প্যারিস ও আশপাশের সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেনে শহরে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়, আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেললাইনের বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেন, “অনলাইনে সংগঠিত হয়ে সরকারবিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। কিছু বামপন্থী রাজনীতিকও এ আন্দোলনকে উসকে দিচ্ছেন।” তাঁর দাবি, মূলত মাখোঁ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরি করতেই এ আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”