ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে সরকার পতনের পর হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালালেন মন্ত্রীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ০১:১৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 8

সেনা হেলিকপ্টার থেকে ফেলা দড়ি (রেসকিউ স্লিং) আঁকড়ে থাকতে দেখা গেছে মন্ত্রীদের | ছবি: সংগৃহীত


নেপালজুড়ে সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ রূপ নিয়েছে ভয়াবহ সহিংসতায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ২০ জনের বেশি মানুষের।

এরই মধ্যে একটি ভিডিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। এতে দেখা যায়, দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের দড়ি (রেসকিউ স্লিং) আঁকড়ে ধরে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। খবর এনডিটিভি’র।

বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়া জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলনকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য—প্রাথমিকভাবে আন্দোলনটি ছিল শান্তিপূর্ণ, তবে ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা’ তা সহিংসতায় রূপ দেয়।

আলোচনায় মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে পালানোর ভিডিও

রাজধানী কাঠমান্ডুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনারা টহল জোরদার করেছে এবং স্থানীয়দের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে টানা সহিংসতার মধ্যে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পরে পদত্যাগপত্র দেন নেপালের প্রেসিডেন্টও। তবে রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যেও সহিংসতা ও ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই সহিংসতা বা দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করা ছিল না। আমরা চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতির অবসান। নেপালের সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, বিভিন্ন ‘নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও ব্যক্তি’ বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

নেপালে সরকার পতনের পর হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালালেন মন্ত্রীরা

প্রকাশঃ ০১:১৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সেনা হেলিকপ্টার থেকে ফেলা দড়ি (রেসকিউ স্লিং) আঁকড়ে থাকতে দেখা গেছে মন্ত্রীদের | ছবি: সংগৃহীত


নেপালজুড়ে সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ রূপ নিয়েছে ভয়াবহ সহিংসতায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ২০ জনের বেশি মানুষের।

এরই মধ্যে একটি ভিডিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। এতে দেখা যায়, দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের দড়ি (রেসকিউ স্লিং) আঁকড়ে ধরে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। খবর এনডিটিভি’র।

বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়া জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলনকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য—প্রাথমিকভাবে আন্দোলনটি ছিল শান্তিপূর্ণ, তবে ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা’ তা সহিংসতায় রূপ দেয়।

আলোচনায় মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে পালানোর ভিডিও

রাজধানী কাঠমান্ডুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনারা টহল জোরদার করেছে এবং স্থানীয়দের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে টানা সহিংসতার মধ্যে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পরে পদত্যাগপত্র দেন নেপালের প্রেসিডেন্টও। তবে রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যেও সহিংসতা ও ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই সহিংসতা বা দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করা ছিল না। আমরা চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতির অবসান। নেপালের সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, বিভিন্ন ‘নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও ব্যক্তি’ বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”