ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

প্রজন্ম কথা ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 17

গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন চার্লি কার্ক | ছবি: রয়টার্স


যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী, বিশ্লেষক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

৩১ বছর বয়সী কার্ক গুলিবিদ্ধ হয়ে মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ইউটাহর গভর্নর স্পেন্সার কক্স এ ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের রাজ্যের জন্য এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন, দেশের জন্য এক দুঃখজনক দিন।”

ঘটনার পরপরই এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পর ইউটাহ পাবলিক সেফটি কমিশনার বো ম্যাসন সংবাদ সম্মেলনে জানান, সন্দেহভাজন এখনো পলাতক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বক্তৃতাকালে হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দর্শকেরা ছুটোছুটি শুরু করেন। আরেকটি ভিডিওতে কার্কের ঘাড় থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তবে রয়টার্স এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

চার্লি কার্ক ছিলেন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা, যা যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল তরুণদের সবচেয়ে বড় সংগঠন হিসেবে পরিচিত। সংগঠনটি গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে তরুণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ের পর ট্রাম্প তরুণ ও সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন আদায়ের কৃতিত্ব কার্ককে দেন।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়ে লিখেছেন, “মহান ও কিংবদন্তি চার্লি কার্ক আর নেই। তরুণ সমাজকে বোঝা ও তাদের হৃদয় জয় করার ক্ষমতা চার্লির চেয়ে বেশি আর কারও ছিল না।”

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ওপর হামলা বাড়ছে। এর আগে গত বছর ট্রাম্পকে দু’বার হত্যার চেষ্টা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ধারাবাহিক ঘটনায় রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চার্লি কার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৫৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি তিনি ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’-এর উপস্থাপক এবং সম্প্রতি ফক্স নিউজের ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর সহ-উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

প্রকাশঃ ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন চার্লি কার্ক | ছবি: রয়টার্স


যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী, বিশ্লেষক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

৩১ বছর বয়সী কার্ক গুলিবিদ্ধ হয়ে মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ইউটাহর গভর্নর স্পেন্সার কক্স এ ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের রাজ্যের জন্য এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন, দেশের জন্য এক দুঃখজনক দিন।”

ঘটনার পরপরই এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পর ইউটাহ পাবলিক সেফটি কমিশনার বো ম্যাসন সংবাদ সম্মেলনে জানান, সন্দেহভাজন এখনো পলাতক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বক্তৃতাকালে হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দর্শকেরা ছুটোছুটি শুরু করেন। আরেকটি ভিডিওতে কার্কের ঘাড় থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তবে রয়টার্স এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

চার্লি কার্ক ছিলেন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা, যা যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল তরুণদের সবচেয়ে বড় সংগঠন হিসেবে পরিচিত। সংগঠনটি গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে তরুণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ের পর ট্রাম্প তরুণ ও সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন আদায়ের কৃতিত্ব কার্ককে দেন।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়ে লিখেছেন, “মহান ও কিংবদন্তি চার্লি কার্ক আর নেই। তরুণ সমাজকে বোঝা ও তাদের হৃদয় জয় করার ক্ষমতা চার্লির চেয়ে বেশি আর কারও ছিল না।”

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ওপর হামলা বাড়ছে। এর আগে গত বছর ট্রাম্পকে দু’বার হত্যার চেষ্টা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ধারাবাহিক ঘটনায় রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চার্লি কার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৫৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি তিনি ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’-এর উপস্থাপক এবং সম্প্রতি ফক্স নিউজের ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর সহ-উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”