ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে অনেকে আমাদের ধন্যবাদ দেন: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশঃ ০২:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 32

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ছবি: এএফপি


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, অনেক বিশ্বনেতা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা করলেও গোপনে তাঁরা সমর্থন ও প্রশংসা জানাচ্ছেন।

শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেতানিয়াহু। গাজায় দীর্ঘায়িত যুদ্ধকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মধ্যেই তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভেতরে–ভেতরে জানেন, ইসরায়েল আসলে আপনাদের জন্যই লড়াই করছে। প্রকাশ্যে আমাদের নিন্দা করলেও বহু নেতা গোপনে এসে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা আমাকে বলেন, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা তাঁদের রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে, অসংখ্য জীবন রক্ষা করেছে।

নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করলে প্রতিবাদ জানিয়ে অনেক দেশের প্রতিনিধি সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় শুধু বিরোধী নয়, ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর সমালোচনাও বাড়ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস দুর্বল হলেও এখনও হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিচ্ছে তারা। তাঁর ভাষ্য, ইসরায়েল “অন্ধকারতম দিন” থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের অন্যতম “চমকপ্রদ সামরিক প্রত্যাবর্তনের” নজির স্থাপন করেছে।

ভাষণে লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। তবে আন্তর্জাতিক মহলের মতে, ইসরায়েল সম্প্রতি হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে এবং সিরিয়ায় নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

নেতানিয়াহু শেষ পর্যন্ত দাবি করেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে এবং এটি ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’কে আরও সম্প্রসারিত করবে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে অনেকে আমাদের ধন্যবাদ দেন: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু

প্রকাশঃ ০২:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ছবি: এএফপি


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, অনেক বিশ্বনেতা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা করলেও গোপনে তাঁরা সমর্থন ও প্রশংসা জানাচ্ছেন।

শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেতানিয়াহু। গাজায় দীর্ঘায়িত যুদ্ধকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মধ্যেই তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভেতরে–ভেতরে জানেন, ইসরায়েল আসলে আপনাদের জন্যই লড়াই করছে। প্রকাশ্যে আমাদের নিন্দা করলেও বহু নেতা গোপনে এসে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা আমাকে বলেন, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা তাঁদের রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে, অসংখ্য জীবন রক্ষা করেছে।

নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করলে প্রতিবাদ জানিয়ে অনেক দেশের প্রতিনিধি সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় শুধু বিরোধী নয়, ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর সমালোচনাও বাড়ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস দুর্বল হলেও এখনও হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিচ্ছে তারা। তাঁর ভাষ্য, ইসরায়েল “অন্ধকারতম দিন” থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের অন্যতম “চমকপ্রদ সামরিক প্রত্যাবর্তনের” নজির স্থাপন করেছে।

ভাষণে লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। তবে আন্তর্জাতিক মহলের মতে, ইসরায়েল সম্প্রতি হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে এবং সিরিয়ায় নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

নেতানিয়াহু শেষ পর্যন্ত দাবি করেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে এবং এটি ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’কে আরও সম্প্রসারিত করবে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”