নিপীড়নের ছায়া থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

- প্রকাশঃ ০৩:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
- / 45
বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ‘প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তি ২০২৫’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বজুড়ে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও মানবিকতা প্রদর্শনকারী ব্যক্তিদের তালিকায় ড. ইউনূস স্থান পেয়েছেন ‘নেতা’ বিভাগে ৬ নম্বরে।
ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রকাশিত একটি মুখবন্ধ লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। তিনি লিখেছেন, গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন এক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর একজন
টাইম ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট
আরও পড়ুন
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা, জেলেনস্কিকে দায়ী করলেন
সুপরিচিত নেতা জাতিকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন — তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরও লিখেছেন, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক কাজ লক্ষ লক্ষ দরিদ্র নারীকে তাদের ভাগ্য বদলে দিতে সহায়তা করেছে। তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল আরকানসাসে, যখন তিনি গভর্নর বিল ক্লিনটন ও আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ কর্মসূচি চালু করতে সহায়তা করেছিলেন।
হিলারি ক্লিনটন ইউনূসকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের অগ্রদূত আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি বাংলাদে
শকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন, মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করছেন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত
সমাজ নির্মাণে অগ্রসর হচ্ছেন।
টাইম ম্যাগাজিন এক বিবৃতিতে জানায়, ইউনূস শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিজ দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
৮৪ বছর বয়সেও ড. ইউনূসের নেতৃত্বগুণ বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করছে। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে জাতিকে একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে তিনি গত গ্রীষ্মে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তাঁর এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
টাইমের এ বছরের তালিকায় ইউনূস ছাড়াও আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম, এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।