ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শহিদুল আলম

- প্রকাশঃ ০৭:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / 25
তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে শহিদুল আলম | ছবি: তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের সৌজন্যে
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কে গেছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান।
শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইসরায়েলের গাজায় চলমান নৃশংসতা বন্ধ এবং নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি নৌযাত্রা শুরু করে গাজা অভিমুখে।
এই অভিযানে অংশ নেয় আরও একটি উদ্যোগ, ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’। মোট নয়টি নৌযানের এই বহরে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীরা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী ওই নৌবহরে আক্রমণ চালিয়ে সব যাত্রী, অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে।
পরে শহিদুল আলমসহ আটক অনেককে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়।
ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর থেকেই শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কারামুক্ত হন এবং আজ শুক্রবার বিকেলে ইসরায়েল ত্যাগ করেন।
বর্তমানে তিনি তুরস্কে অবস্থান করছেন। তাঁর পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানা যায়নি।
মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় শহিদুল আলম বাংলাদেশে দৃক ও পাঠশালা মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি ২০১৮ সালে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় আসেন।