ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশঃ ০৯:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / 4

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং এর বিচার কার্যক্রম ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

তিনি জানান, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা ও পর্যালোচনার পর অবশেষে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে গুমকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এটি ‘চলমান অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

প্রেস সেক্রেটারি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত যেসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো, সেগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, গঠিত ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয়ার পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা বহাল থাকবে।

অধ্যাদেশে ভুক্তভোগী ও স্বাক্ষীদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং পরিচয় সুরক্ষার বিষয়েও বিশেষ বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে দেশে আর কোনো সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। মানবাধিকার সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই অধ্যাদেশটি পাস করা হয়েছে।”

এদিন বৈঠকে দেশে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন খাত আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতি’র চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। একইসঙ্গে গুম প্রতিরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বিচার

প্রকাশঃ ০৯:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং এর বিচার কার্যক্রম ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

তিনি জানান, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা ও পর্যালোচনার পর অবশেষে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে গুমকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এটি ‘চলমান অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

প্রেস সেক্রেটারি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত যেসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো, সেগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, গঠিত ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয়ার পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা বহাল থাকবে।

অধ্যাদেশে ভুক্তভোগী ও স্বাক্ষীদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং পরিচয় সুরক্ষার বিষয়েও বিশেষ বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে দেশে আর কোনো সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। মানবাধিকার সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই অধ্যাদেশটি পাস করা হয়েছে।”

এদিন বৈঠকে দেশে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন খাত আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতি’র চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। একইসঙ্গে গুম প্রতিরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”