বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ: লঙ্ঘনে আজীবন বহিষ্কার

- প্রকাশঃ ১১:১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / 19
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর ১১১তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যার মধ্যে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সদস্য সচিব ড. মোঃ হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় উক্ত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা পরবর্তীতে ১১১তম সিন্ডিকেট সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়।
প্রকাশিত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলের সিট বাণিজ্য এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রমে কেউ জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু অভ্যন্তরীণ বিধি অনুযায়ী নয়, প্রয়োজনে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ীও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনানুগ প্রক্রিয়া চালানো হবে।
এছাড়া, কোনো শিক্ষার্থী যদি বহিরাগত, পুলিশ, শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর দ্বারা কোনোভাবে আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে।
আরও পড়ুন
বিইউএফটি শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন
উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের “পরীক্ষায় অসদুপায় ও শৃঙ্খলা বিধিমালা-২০১৮ (সংশোধিত ২০২৪)”-এর ধারা ৩(ঘ) ও ৩(vi)-এ অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ হারুন-অর রশিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ ও একাগ্র শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক বিভাগ এবং আবাসিক হলসমূহে পাঠানো হয়েছে। একইসাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।