বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া | ফাইল ছবি 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আজ বুধবার দুপুরে ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মিন্টু বলেন, নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানেন। যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ইনশাআল্লাহ বিএনপি এখানে জয়লাভ করবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

তিনি আরও বলেন, লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ করে আমরা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তা জানুয়ারিতেও হতে পারে।

সাবেক এই এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে কেয়ারটেকার সরকার ইস্যুতে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলমান। যদি আদালতের রায়ে কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল হয়, তাহলে সেই সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাধ্য থাকবে।

সরকারের জবাবদিহিতা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে মিন্টু বলেন, ১৯ বছর ধরে আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্যাতন সহ্য করেছি। কেউ যদি বলেন, হঠাৎ করে আমরা নির্বাচন চাইছি— তা সঠিক নয়। ২০০৬ সাল থেকেই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছি।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা অংশ নিলেও সেটি অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল না। তারপর থেকে দেশে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নেই। প্রায় দুই যুগ ধরে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার না থাকায় দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনের উন্নয়ন থেমে গেছে।

এ সময় আবদুল আউয়াল মিন্টু দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, আমরা এমন একটি সরকার চাই, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কারণ নির্বাচন ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”