ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকসু নির্বাচনে সাবেক প্রক্টরের ভাগ্নের প্রচারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা

জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৯:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 5

মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল | ছবি: সংগৃহীত


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কাজি নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক।

তবে তাঁর নির্বাচনী প্রচার নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। জানা গেছে, পিয়ালের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত একাধিক নেতা–কর্মী, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত জুলাই হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত হয়েছেন।

সালাম বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে লিফলেট বিতরণ ও অনলাইনে যোগাযোগ করে ভোট চাইছেন এসব বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা। প্রতিবেদকের হাতে পাওয়া প্রমাণ অনুযায়ী, দর্শন বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী মুবাশ্বিরুজ্জামানকেও পিয়ালের পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা সুকৌশলে তাঁর হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক আ স ম ফিরোজ–উল–হাসানের ভাগ্নে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মীর মশাররফ হোসেন হলে সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডে নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন ফিরোজ–উল–হাসান। আন্দোলনের মুখে তখন তাঁকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, এবার জাকসু নির্বাচনে ওই সাবেক প্রক্টর সরাসরি ভাগ্নের প্রচারণায় প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং নানা মহলে তাঁর হয়ে যোগাযোগ করছেন।

বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতাধর আত্মীয়ের প্রত্যক্ষ সহায়তা- সব মিলিয়ে পিয়ালের প্রচারণা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মহলে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। সচেতন মহলের আশঙ্কা, এসব ঘটনায় জাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

জাকসু নির্বাচনে সাবেক প্রক্টরের ভাগ্নের প্রচারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা

প্রকাশঃ ০৯:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল | ছবি: সংগৃহীত


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কাজি নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক।

তবে তাঁর নির্বাচনী প্রচার নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। জানা গেছে, পিয়ালের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত একাধিক নেতা–কর্মী, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত জুলাই হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত হয়েছেন।

সালাম বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে লিফলেট বিতরণ ও অনলাইনে যোগাযোগ করে ভোট চাইছেন এসব বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা। প্রতিবেদকের হাতে পাওয়া প্রমাণ অনুযায়ী, দর্শন বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী মুবাশ্বিরুজ্জামানকেও পিয়ালের পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা সুকৌশলে তাঁর হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক আ স ম ফিরোজ–উল–হাসানের ভাগ্নে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মীর মশাররফ হোসেন হলে সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডে নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন ফিরোজ–উল–হাসান। আন্দোলনের মুখে তখন তাঁকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, এবার জাকসু নির্বাচনে ওই সাবেক প্রক্টর সরাসরি ভাগ্নের প্রচারণায় প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং নানা মহলে তাঁর হয়ে যোগাযোগ করছেন।

বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতাধর আত্মীয়ের প্রত্যক্ষ সহায়তা- সব মিলিয়ে পিয়ালের প্রচারণা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মহলে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। সচেতন মহলের আশঙ্কা, এসব ঘটনায় জাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”