ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রিয়নডা’ উন্মোচিত

মোঃ মুশফিকুর রহমান মিরাজ
  • প্রকাশঃ ০৮:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / 25

ফিফা উন্মোচন করেছে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাচ বল—‘ট্রিয়নডা’। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো—এই তিন দেশ যৌথভাবে আয়োজিত আসরের প্রতীক হিসেবে বলটি আত্মপ্রকাশ করেছে বৃহস্পতিবার জুরিখে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টে ৪৮ দলের অংশগ্রহণে মোট ১০৪ ম্যাচে ব্যবহৃত হবে ‘ট্রিয়নডা’।

বলটিতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক ৫০০ হার্টজ মোশন সেন্সর চিপ, যা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)-কে অফসাইড ও হ্যান্ডবলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দ্রুত ও নিখুঁতভাবে নিতে সহায়তা করবে। অ্যাডিডাস নির্মিত এই বলটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১৭০ ডলার।

‘ট্রিয়নডা’ নামটি এসেছে স্প্যানিশ শব্দ “তিন ঢেউ” থেকে। এর ডিজাইনে ফুটে উঠেছে তিন আয়োজক দেশের ঐতিহ্য ও প্রতীক—কানাডার ম্যাপল লিফ, মেক্সিকোর ঈগল ও যুক্তরাষ্ট্রের তারা। প্যানেলগুলিতে লাল, সবুজ ও নীল রঙের গতিশীল প্যাটার্ন যুক্ত হয়েছে, যা তিন দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও একতার প্রতিফলন। ডিজাইনের প্রতিটি বাঁকে রয়েছে সোনালী ফিফা ট্রফির ঝলক।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্টিনো বলেন, “ট্রিয়নডা কেবল একটি বল নয়, এটি তিন দেশের ঐক্য ও আবেগের প্রতীক। এই বল বিশ্বকাপকে আরও উদ্ভাবনী ও স্মরণীয় করে তুলবে।”

লাস ভেগাসের আইকনিক **‘স্ফিয়ার’-এ প্রদর্শনী শো-তে অতীতের সব বিশ্বকাপ বলের সঙ্গে ‘ট্রিয়নডা’ উন্মোচিত হয়, যা ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই বলটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এর অ্যারোডায়নামিক্সকে ২০১০ সালের ‘জাবুলানি’র সঙ্গে তুলনা করছেন, যা গোলরক্ষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।

অ্যাডিডাসের ডিজাইন টিম জানিয়েছে, বলটির ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও দর্শকদের জন্য তৈরি করবে ভিন্ন মাত্রার উত্তেজনা। সায়েন্টিফিক আমেরিকানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ট্রিয়নডা’র অপ্রত্যাশিত ফ্লাইট খেলার মান বাড়ালেও রেফারিদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর আগে মাসকট উন্মোচিত হয়েছে, টিকিটের জন্য ইতোমধ্যে ২১৬ দেশ থেকে ৪.৫ মিলিয়ন আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিটি টিকিট বিক্রি থেকে ১ ডলার দান করা হবে ফিফার গ্লোবাল সিটিজেন এডুকেশন ফান্ডে।

ফিফার ভাষ্য অনুযায়ী, এই বল কেবল খেলার সরঞ্জাম নয়, বরং উত্তর আমেরিকার তিন দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ঐক্যের উদযাপন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

প্রাসঙ্গিক

শেয়ার করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রিয়নডা’ উন্মোচিত

প্রকাশঃ ০৮:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ফিফা উন্মোচন করেছে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাচ বল—‘ট্রিয়নডা’। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো—এই তিন দেশ যৌথভাবে আয়োজিত আসরের প্রতীক হিসেবে বলটি আত্মপ্রকাশ করেছে বৃহস্পতিবার জুরিখে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টে ৪৮ দলের অংশগ্রহণে মোট ১০৪ ম্যাচে ব্যবহৃত হবে ‘ট্রিয়নডা’।

বলটিতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক ৫০০ হার্টজ মোশন সেন্সর চিপ, যা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)-কে অফসাইড ও হ্যান্ডবলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দ্রুত ও নিখুঁতভাবে নিতে সহায়তা করবে। অ্যাডিডাস নির্মিত এই বলটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১৭০ ডলার।

‘ট্রিয়নডা’ নামটি এসেছে স্প্যানিশ শব্দ “তিন ঢেউ” থেকে। এর ডিজাইনে ফুটে উঠেছে তিন আয়োজক দেশের ঐতিহ্য ও প্রতীক—কানাডার ম্যাপল লিফ, মেক্সিকোর ঈগল ও যুক্তরাষ্ট্রের তারা। প্যানেলগুলিতে লাল, সবুজ ও নীল রঙের গতিশীল প্যাটার্ন যুক্ত হয়েছে, যা তিন দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও একতার প্রতিফলন। ডিজাইনের প্রতিটি বাঁকে রয়েছে সোনালী ফিফা ট্রফির ঝলক।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্টিনো বলেন, “ট্রিয়নডা কেবল একটি বল নয়, এটি তিন দেশের ঐক্য ও আবেগের প্রতীক। এই বল বিশ্বকাপকে আরও উদ্ভাবনী ও স্মরণীয় করে তুলবে।”

লাস ভেগাসের আইকনিক **‘স্ফিয়ার’-এ প্রদর্শনী শো-তে অতীতের সব বিশ্বকাপ বলের সঙ্গে ‘ট্রিয়নডা’ উন্মোচিত হয়, যা ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই বলটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এর অ্যারোডায়নামিক্সকে ২০১০ সালের ‘জাবুলানি’র সঙ্গে তুলনা করছেন, যা গোলরক্ষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।

অ্যাডিডাসের ডিজাইন টিম জানিয়েছে, বলটির ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও দর্শকদের জন্য তৈরি করবে ভিন্ন মাত্রার উত্তেজনা। সায়েন্টিফিক আমেরিকানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ট্রিয়নডা’র অপ্রত্যাশিত ফ্লাইট খেলার মান বাড়ালেও রেফারিদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর আগে মাসকট উন্মোচিত হয়েছে, টিকিটের জন্য ইতোমধ্যে ২১৬ দেশ থেকে ৪.৫ মিলিয়ন আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিটি টিকিট বিক্রি থেকে ১ ডলার দান করা হবে ফিফার গ্লোবাল সিটিজেন এডুকেশন ফান্ডে।

ফিফার ভাষ্য অনুযায়ী, এই বল কেবল খেলার সরঞ্জাম নয়, বরং উত্তর আমেরিকার তিন দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ঐক্যের উদযাপন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”