আন্তঃশাহীন ও আন্তঃক্যান্টনমেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দ্বৈত চ্যাম্পিয়ন বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা

- প্রকাশঃ ০৭:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 57
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্রীড়া আয়োজন আন্তঃশাহীন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এবং আন্তঃক্যান্টনমেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট—দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বি এ এফ শাহীন কলেজ ঢাকা। এক টানা দুই শিরোপা জয় করে নতুন ক্রীড়াইতিহাস গড়লো প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও সমর্থকদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুর্মিটলা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ বছর পর আয়োজিত আন্তঃশাহীন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। হাজারো শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বাছাই করা সেরা প্রতিভার সমন্বয়ে গঠিত হয় প্রতিটি দল।
প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক কুর্মিটলার বিপক্ষে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা শাহীন। ১৩৯ রানের টার্গেট তাড়ায় ৩০ রানেই হারায় ৪ উইকেট। দলকে টেনে তোলেন সাইফুর রহমান প্রিন্স ৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে সাতটি ছয় ও সাতটি চার হাঁকান তিনি। শেষদিকে তাবসির মাত্র ৫ বলে ২৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে জয় এনে দেন দলকে। দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে ওঠে ঢাকা শাহীন।
ফাইনালে প্রতিপক্ষ যশোর। ব্যাটিংয়ে নেমে যশোর তোলে ১৫২ রান। টপ-অর্ডার ব্যর্থতার পর তানভির ও নাহিদের ৮২ রানের জুটি দলকে ম্যাচে ফেরায়। তানভির অপরাজিত ৬২ রানে ও ফাহাতের ঝড়ো ২৭ রানে নিশ্চিত করে জয়। ফাইনাল ম্যাচসেরা হন তানভির, আর টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন সাইফুর রহমান প্রিন্স।
আন্তঃক্যান্টনমেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এ আসরের সেমিফাইনালে কুর্মিটলা শাহীনকে ৯ উইকেটে হারায় ঢাকা শাহীন। ফাইনালে সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুলের বিপক্ষে ৫৬ রানের টার্গেট দেয় শাহীন ঢাকা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে বল হাতে ইমন ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক আরাফাত ও জাহিন গালি অঞ্চলে দারুণ শটে জয় নিশ্চিত করেন ১ বল হাতে রেখেই। এতে দ্বিতীয় শিরোপাও চলে যায় ঢাকা শাহীন এর ঘরে।
শাহীন ঢাকার এই অসামান্য সাফল্যের পেছনে ছিল মাসব্যাপী নিবিড় অনুশীলন ক্যাম্প। কোচ মো. জাকির, ম্যানেজার মো. আব্দুল কুদ্দুছ এবং সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান মিরাজ। প্রতিটি খেলোয়াড়কে গড়ে তুলতে ব্যান্ড ক্লাবের সদস্যরাও মাঠে সমর্থন দিয়ে উজ্জীবিত রাখেন পুরো দলকে।
বাদশা (অধিনায়ক), তানভির (সহ-অধিনায়ক), বিজয়, প্রিন্স, আরাফাত, নাহিদ, ইমন, শুভ, তাবসির, তানজিম, ইমরান, জাহিন, শাহেদ, মুশফিক, জয়, জাহিদুল। আরাফাত (অধিনায়ক), জাহিন, মুস্তাকিম, নাবিদ, সাইবির, ইসমাইল, সোবাত, জয়, ইমন, ফয়সাল, রাফিউন, জারিফ, আনাফ, সিয়াম, আইয়ান।