বাংলাদেশ এর সর্বকনিষ্ঠ সামাজিক সংগঠক এনায়েত উল্লাহ সিয়াম

- প্রকাশঃ ১০:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
- / 36
যেখানে অধিকাংশ শিশু তাদের শৈশব কাটায় খেলাধুলা আর নির্ভার আনন্দে, সেখানে এক শিশুর চোখে ফুটে ওঠে গ্রামের সকল মানুষকে একত্রিত করার স্বপ্ন। দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ৪নং পাল্টাপুর ইউনিয়নের বাছাড়গ্রামে মাত্র নয় বছর বয়সী এনায়েত উল্লাহ সিয়াম শুরু করেন একটি সামাজিক প্লাটফর্ম — বাছাড়গ্রাম টাইগার ক্লাব। আজ সেই ছোট্ট সংগঠন রূপ নিয়েছে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলনে — বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ পরিষদ (BSSKP)।
সিয়ামের ভাষায়, “সময়টা তখন ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়েই মনে হতো, গ্রামে একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম দরকার, যেখানে সবাই একত্রে কাজ করবে। এমন ভাবনা থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু। শুরুটা ছিল কেবল খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে। মাত্র ছয়জন সহযোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত হয় বাছাড়গ্রাম টাইগার ক্লাব। প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন, গোলাম সারোয়ার, আবু সাইদ, আল-আমিন, জাহিদ হাসান, রাইসুল আমিন রিফাত।” পরবর্তী সময়ে ২০১৯ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ই অক্টোবর পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয় এই সংগঠনটি। মূলত সেজন্যই সংগঠনের প্রতিষ্ঠার সাল ধরা হয় ২০১৯। বয়সের সাথে সাথে সেই ক্রীড়া ভিত্তিক সংগঠন পরিণত হতে থাকে একটি সামাজিক আন্দোলনে।
সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন নামে কাজ করলেও, ২০২১ সালে সংগঠনের নাম চূড়ান্ত করা হয় বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ পরিষদ (BSSKP)। বর্তমানে সংগঠনটি দেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মূলমন্ত্র — “একসাথে চলবো, সুন্দর সমাজ গড়বো”।
এনায়েত উল্লাহ সিয়াম বর্তমানে কেবল একজন সংগঠকই নন, বরং একজন তরুণ সমাজসেবক, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, উপস্থাপক এবং পাবলিক স্পিকার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি, পাবলিক স্পিকার এন্ড প্রেজেন্টার ফোরাম বাংলাদেশ-এর ভাইস চেয়ারম্যান।
সামাজিক উন্নয়ন, মাদকবিরোধী প্রচারণা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় তিনি হয়ে উঠেছেন তরুণদের আইকন। তাঁর উদ্যোগে বহু শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ ইতিবাচক পথে ফিরে এসেছে।
এনায়েত উল্লাহ সিয়াম বলেন, “আমার স্বপ্ন, সমাজ বদলানো নয় — বরং সমাজ গঠনে সবাইকে যুক্ত করা। বাংলাদেশ এর সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমি খুবই ছোট মানুষ। আমার ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিবেন। আমি নিজেকে শুধরে নিবো।